সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ফেলানী হত্যার দ্রুত বিচারের আশ্বাস

ফেলানী হত্যার দ্রুত বিচারের আশ্বাস

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ফেলানী হত্যা মামলায় বিচারকাজ দ্রুত শেষ হবে বলে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত। বিএসএফের মহাপরিচালক (ডিজি) ডি কে পাঠক জানান, এই মামলায় বাংলাদেশের সাক্ষীদেরও ডাকা হবে। এমনটাই জানিয়েছে আনন্দবাজার।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক জওয়ান।

ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করতেন। তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো ফেলানী।

দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানীর। এতে ভয়ে সে চিৎকার দিলে বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে লাশ নিয়ে যায়।

কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ সরকার ও মানবিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য চাপ দেয়া হয়।

এ ঘটনায় পরে তদন্ত শুরু করে বিএসএফ। কিন্তু বিএসএফের আদালত অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে নিরপরাধ বলে মুক্তি দিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে বিএসএফের ডিজির বাংলাদেশ সফরের আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীই সেই আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেয়।

গত চার দিন ধরে দিল্লিতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে সেই বিচার প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। বিএসএফের কর্মকর্তাদের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, কবে এই বিচারকাজ শেষ হবে। জবাবে বিএসএফের ডিজি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সাক্ষী রয়েছেন এই মামলায়। যাদের বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব শিগগিরই তাদের ডাকা হবে।’

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে বলে মেনে নিয়েছে দু’পক্ষই। বিজিবির ডিজি বলেন, ‘সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে। বিএসএফ এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু আমরা এমন পরিস্থিতি চাই যেখানে সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নেমে আসবে।’

তবে বিএসএফের প্রধান বলেন, ‘নিতান্ত বাধ্য না হলে অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি না চালানোর কথাই বলা হয়েছে জওয়ানদের। সীমান্তে চোরাচালান রুখতেই বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে হয়।’