শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ফের তিন দিনের সময় পেল মালিকরা

ফের তিন দিনের সময় পেল মালিকরা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণে গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিতে আবারও তিন দিনের সময় পেল পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এ সময় চাইলে মজুরি বোর্ডের সদস্যরা আলোচনা করে তাতে সম্মতি দেন।

মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ বৈঠক শেষে বিজিএমইএকে তিন দিন সময় দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায়।

রাজধানীর তোপখানা রোডের মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে আজ সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের ছয় সদস্য।

চেয়ারম্যান এ কে রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ২৭ অক্টোবর বোর্ডের সপ্তম সভায় বিজিএমইএ চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে। আশা করি, সেদিনই মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষসহ বোর্ডের সব সদস্যের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি মতৈক্যে পৌঁছানো যাবে। সেটি সম্ভব হলে চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত সুপারিশ শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো যাবে।’

একই সঙ্গে আগামী বৈঠকে বিজিএমইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়ার কথা জানান মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

এদিকে বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজিএমইএর পক্ষে পরিচালক ও বোর্ডের মালিকপক্ষের সদস্য আরশাদ জামাল আজকের বৈঠকে সাড়ে চার হাজার টাকা মজুরির একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেন। এতে আগের প্রস্তাব তিন হাজার ৬০০ টাকা ঠিক রেখে মালিকেরা নতুন করে খাদ্য ভর্তুকি ও যাতায়াত ভাতা-বাবদ মোট ৯০০ টাকা যুক্ত করেন। তবে বিজিএমইএর এই খসড়া প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন বৈঠকে উপস্থিত শ্রমিকপক্ষের দুই প্রতিনিধি।

জানতে চাইলে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএর নেতারা একটি কৌশল করে শ্রমিকদের ফাঁকি দিতে চান। বর্তমানে অনেক কারখানাতেই খাবার ও যাতায়াত বাবদ ভাতা দেওয়া হয়। সেটিকেই তাঁরা অনুমোদন করিয়ে নিতে চাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘এমনটি হলে শ্রমিকদের মূল বেতন বাড়বে না। তাই মালিকপক্ষের এ ধরনের প্রস্তাব আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২৭ তারিখের বৈঠকই যেন মজুরি বোর্ডের শেষ বৈঠক হয়। আমাদের দাবি, মধ্য নভেম্বরের মধ্যেই গেজেট প্রকাশ করা হোক; যাতে শ্রমিকেরা ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামোতে বেতন-ভাতা পান।’