শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ফের আলোচনায় স্ত্রী-বান্ধবীরা

ফের আলোচনায় স্ত্রী-বান্ধবীরা

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ২০০৬’র বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ইংল্যান্ড দলের বিদায় দেখেন সমর্থকরা। আর দলের ভরাডুবিতে অন্য বিরক্তি দেখান ইংলিশ ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিন্যান্ড। পর্তুগালের কাছে টাইব্রেকারে হার শেষে ফার্ডিন্যান্ড বলেন- জাতীয় ফুটবল দলটাতো এখন সার্কাস পার্টি! আর ফার্ডিন্যান্ডের এমন বিরক্তির কারণটা ইংলিশ ফুটবলারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা। এমন ইস্যুতে নতুন খবর নিয়ে ফের চঞ্চল ইংলিশ ফুটবলাঙ্গন। শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলায় ওয়েম্বলির মাঠে মলদোভার সঙ্গে ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ম্যাচের আগে টিম হোটেলে ইংল্যান্ড দলের ডিনারকালে খেলোয়াড়দের স্ত্রী-বান্ধবীদের উপস্থিতি দেখে ভ্রুক্ষেপ দেখাচ্ছে ইংলিশ মিডিয়াও। ম্যাচের আগের দিন ওয়াটফোর্ডের পাঁচতারা গ্রোভ হোটেলে খেলোয়াড়দের স্ত্রী বান্ধবীরা ডিনারের আগে-পরে কোথায় অবস্থান করছিলেন, এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খেলোয়াড়রা পরে স্ত্রী- বান্ধীদের সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন কিনা এর স্পষ্ট উত্তর দেয়নি ইংলিশ ফুটবল এসোসিয়েশনও (এফএ)। তারা শুধু বলেছে- কোন আইন লঙ্ঘন হয়নি। আন্তর্জাতিক ফুটবল চলাকালে স্ত্রী-বান্ধবীদের সহ-অবস্থানে ইংল্যান্ড দলে কড়াকড়ি চলছিল গত ৭ বছর। ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলো দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০’র বিশ্বকাপে ইংলিশ ফুটবলারদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ রেখেছিলেন।

ইংল্যান্ডের বর্তমান কোচ রয় হজসন এ বিষয়ে অপেক্ষাকৃত নমনীয়। তবে ইংল্যান্ড দলের ম্যাচের আগে স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে রাত কাটানোয় বিধি-নিষেধটা বহাল রয়েছে এখনও। ইংলিশ ফুটবল দলে স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে বাড়তি আলোচনার শুরুটা ২০০৬’র বিশ্বকাপে। সেবার কোচ সভেন গোরান এরিকসন জার্মানিতে ইংল্যান্ড দলের হোটেলের আশপাশে অবস্থানের অনুমতি দেন স্ত্রী- বান্ধবীদের। এতে জার্মানিতে পৌঁছে গ্ল্যামারাস সাজগোজে দফায় দফায় শপিং এবং এটা-ওটা উদঘাটন-উদ্বোধনে অতিথি হয়ে নিজেদের নিয়ে মেতে থাকেন ইংলিশ ফুটবলারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা। আর টেরি-জেরার্ডদের স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে মুখরোচক খবরে মাতে মিডিয়া। মাঠে ইংল্যান্ড ফুটবলারদের নৈপুণ্যে সেবার এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল মনে করেন রিও ফার্ডিন্যান্ড।