রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ফুসে উঠছে সচেতন ঝিনাইদহ বাসী !

ফুসে উঠছে সচেতন ঝিনাইদহ বাসী !

শেয়ার করুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের দুই ধারের কালের সাক্ষী ৪৮ টি গাছ ঐতিহ্যবাহী পুরাতন মূল্যবান কড়াই গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহের একটি গাছ থেকো কুচক্রি মহল ব্যাক্তি গত স্বার্থে গাছ গুলি কাটার জন্য উৎস যোগাচ্ছে এবং পিছন থেকে কল কাঠি নাড়ছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রস্তাব জেলা পরিষদে পাঠিয়েছে। গত ১২ ই অক্টোবর ও ৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্ময় কমিটির সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয় টি জানাজানি হওয়ার পর সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যে ঝিনাইদহের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটি জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারক লিপি দিয়াছে। জেলা প্রশাসক পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এবং পুরাতন ঐতিহ্যের ক্ষতি হয় এমন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারপরেও প্রভাব শালীদের ম্যানেজ করে কুচক্রি মহলটি তাদের উদ্দেশ্য হাঁচিল করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানা গেছে। জেলা পরিষদ এ ব্যাপারে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। সেই হিসাবে ঝিনাইদহ শহরের ওয়াপদা অফিসের সামনে থেকে জেলার শেষ সীমানা সরোজ গঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের গাছ গুলির মালিকানা তাদের। ব্রিটিশ আমালে লাগান গাছ গুলি সড়ক ও জনপথ বিভাগই দেখভাল করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে কিন্ত সড়ক প্রশস্ত করনের অজুহাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই সড়কের দুই ধারের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবান ৪৮ টি কড়াই গাছ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়াছে । ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ ব্যাপারে একটি সুপারিশ মালা পরিষদ বরাবর পাঠিয়েছে। জেলা পরিষদ বিক্রির পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কার্যক্রম শুরু করেছে। সড়ক প্রশস্ত করনের অজুহাতে কালের সাক্ষী। ঝিনাইদহের অতীত ঐতিহ্য। অতি মূল্যবান ৪৮ টি গাছ কড়াই গাছ বিক্রির এই রুপ সিদ্ধান্ত সচেতন মহল হতবাগ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।ঝিনাইদহের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাছুদ আহামেদ সঞ্জু জানান ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহি কালের সাক্ষী মূল্যবান কড়াই গাছ গুলি বিক্রির জন্য একটি কুচক্রি মহল পায়তারা শুরু করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঝিনাইদহের ঐতিহ্য ধবংকারি যে কোন সিধান্তের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। ঝিনাইদহের সড়ক বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গা সড়ক প্রশস্ত করন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্ত সড়কের পাশের গাছ গুলি রাস্তার আজিংয়ের ভিতরে চলে এসেছে এতে যান বাহন চলাচলের ঝুকি সৃষ্টি হয়েছে। সে কারনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বেশী ঝুকি পূর্ণ গাছ গুলি কেটে ফেলার জন্য একটি প্রস্তাব জেলা পরিষদ বরাবর পেশ করেছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যত কম সংখ্যাক ও গাছগুলি বেশি ঝুকিপূর্ণ শুধু মাত্র সেই গাছ গুলি কাটার।
এই গাছ কাটার কথা খবর শুনে ধিরে ধিেের ফুসে উঠছে ঝিনাইদহের সাধারণ সচেতন জনতা ইতিমধ্যে গত মঙ্গলবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় ও ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের দুই ধারের কালের স্বাক্ষী ৪৮টি এতিহ্যবাহী মূল্যবান কড়াই গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঝিনাইদহ জেলা জাসদ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় শহরের পায়রা চত্বরে এ বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
জেলা জাসদ সভাপতি মুন্সী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জাসদ নেতা শরাফত ইসলাম, শামিম আকতার বাবু, মনিরুজ্জামান মানিক, চন্দন চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খুররম বলেন, শুধু ৪৮টি কড়াই গাছই নয় কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জেলা পরিষদ ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার দুই ধারে ফাঁকা জায়গাগুলি বেআইনীভাবে লীজ দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে স্থায়িভাবে পাকা ও সেমিপাকা স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী। বক্তারা ঝিনাইদহের পরিবেশ ধবংশকারী এসব বেআইনী কর্মকান্ড অনতিবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় ঝিনাইদহের সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সতর্ক করে দেন। ইহা ছাড়া বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক স্বপ্না সুলতানা কালের সাক্ষী ৪৮ টি গাছ ঐতিহ্যবাহী পুরাতন মূল্যবান কড়াই গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন