শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ফুটপাত জুড়ে ইফতারি, বিড়ম্বনায় পথচারিরা

ফুটপাত জুড়ে ইফতারি, বিড়ম্বনায় পথচারিরা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: গত বছর রমজানের আগে সাবেক ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ (বর্তমানে র‌্যাবের ডিজি) কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ফুটপাতে কোন ইফতারি বাজার বসানো যাবেনা। বসালে কঠোর শাস্তি। সে অনুযায়ী গেল বছর যেখানে সেখানে ইফতারি বিক্রি হলেও ফুটপাত দখল করে হয়নি। আর এ বছর চলছে তার উল্টো। ফুটপাত জুড়েই চলছে ইফতার বাজার।

শুক্রবার প্রথম রমজান হওয়ায় মনে হয়েছে পুলিশ হয়তো তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু পুলিশের এই কম গুরুত্বের কারণে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ পেয়েছে। গতকাল রাজধানীর প্রায় সব এলাকায়ই ফুটপাতে ইফতারির বাজার প্রথম দিনের তুলনায় বেড়েছে। ফুটপাতজুড়ে এসব দোকান বাসনোয় অনেকেই মন্তব্য করেছেন পুলিশের ভুমিকা নিয়ে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে এবার কোন ঘোষণা না দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফার্মগেট থেকে পান্থপথ মোড় পর্যন্ত অন্তত ২০টি ইফতারির দোকান বসানো হয়েছে। আর এসব দোকান বসানো হয়েছে ফুটপাতেই। সাধারণ পথচারি চলাচলের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হলেও সেদিকে খেয়াল নেই পুলিশের। এছাড়া মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, পল্টন, সেগুনবাগিচা, গুলিস্তান, বাড্ডা, ভাটারা, মিরপুর, শেওড়াপাড়াসহ অনেক এলাকার ফুটপাতজুড়ে বসানো হয়েছে ইফতার বাজার। পথচারিরা বলছেন, এমনিতেই রমজানে যানজট বেশি হয়। পায়ে হেটে চলাচলেও সমস্যা হয়। এরপরও ফুটপাতজুড়ে এসব ইফতারির দোকান বসানোয় হাঁটাচলা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তারা বলেন ইফতারির দোকানগুলো সরিয়ে কোন ফাঁকা জায়গায় বসানো বা যেসব বড় হোটেরের সামনে বসানো হয়েছে সেসব হোটেলের ভেতরেই বিক্রির ব্যবস্থা করলেই এই সমস্যার সমাধান হতো।
এদিকে একাধিক ইফতারি ব্যবসায়ী (মৌসুমি ব্যবসায়ী) বলেন, তারা সাধারণত এই রমজানের একমাস ইফতারির ব্যবসা করেন। ফুটপাত ছাড়া আর কোন স্থান তেমন একটা পাওয়া যায়না। তারা অভিযোগ করেন, গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডিসহ অভিজাত এলাকাগুলোতে খাবার হোটেলের সামনেই ইফতারি বিক্রির ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু ওইসব হোটেলের মালিকেরা মনে করেন তাদের হোটেলের সামনের ফুটপাত তাদেরই। তাই পুরো জায়গা দখল করেই দোকান বসান তারা। আবার দোকান প্রতি স্থানীয় চাঁদাবাজদেরও টাকা দিতে হয়। গুলশানে ব্যবসায়িরা চাঁদাবাজদের কারণে অতিষ্ঠ। গুলশান এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ মাহবুব, আনোয়ার, জাহাঙ্গীর, ডালিম, বাশার, রিয়াজ ও জিতু। এদের কারণে গুলশান, বাড্ডা, বনানী ও ভাটারা এলাকার ফুটপাত হাকাররা তটস্থ থাকেন। ওইসব স্থানে সাধারণ মানুষের হাঁটারও জায়গা থাকেনা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়না পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের ডিসি মুনতাসিরুল আলম বলেন, এমনিতেই ফুটপাতে কোন দোকান বসানো নিষেধ। রোজার মাসে ইফতারি বাজার বসানোর ব্যাপারে ফুটপাত দখল করে না বসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ বসে থাকলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে নিু আয়ের মানুষের (হকারদের) ক্ষেত্রে কিছুটা সহনীয় থাকতে বলেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। বেঙ্গলিনিউজটোয়েটফোর.কম