স্পোর্টস ডেস্ক ॥
ঢাকা: দলের বিপর্যয় কাটিয়ে দলীয় শতকের দিকে এগোচ্ছিল সৌম্য-রিয়াদ জুটি। তবে এ জুটির ৮৬ রানের মাথায় ইংলিশ সিমার জর্দানের ছোড়া বাউন্সার না সামলাতে পেরে উইকেটরক্ষকের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য সরকার।
৫২ বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তিনি। এতে দলীয় শতক না পেরুতেই তৃতীয় উইকেটের পতন হলে টাইগারদের। ক্রিজে এসেছেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণে আর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ইংলিশ বধে আগে ব্যাটিং পাওয়া টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে মাঠে আসেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়ের বদলি হিসেবে খেলতে নামা ইমরুল কায়েস।
তবে, জেমস অ্যান্ডারসনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পিছনে তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো ক্রিস জর্ডানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল কায়েস। আউট হওয়ার আগে তিনি মাত্র ২ রান করেন।
প্রথম ওভারে ইমরুল কায়েসের উইকেট হারানো বাংলাদেশের আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও দ্রুতই বিদায় নেন। একবার জীবন ফিরে পেয়েও সে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আগের ম্যাচের ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৫ রান করা তামিম। জেমস অ্যান্ডারসনের করা তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো জো রুটের তালুবন্দি হন তামিম (২ রান)।
পাওয়ার প্লে’র দশ ওভারে বাংলাদেশ দুই ওপেনারকে হারিয়ে তোলে ৩২ রান।
এর আগে চলতি বিশ্বকাপের ৩৩তম ম্যাচে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
অ্যাডিলেড ওভালে উভয় দলের জন্যই হবে বাঁচা-মরার লড়াই। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিতে পারলেই সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে যাবে ইংলিশদের।
বাংলাদেশের জন্য এ ম্যাচের পরও সুযোগ হিসেবে থাকছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। তবে ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড দলের এ ম্যাচ জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগাররা ইংলিশদের দুই উইকেটে হারিয়েছিল। দুই দলের মোট দেখা হয়েছে ১৫ বার, এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় দুই ম্যাচে। বাকি সবগুলো ম্যাচে জয় পেয়েছে ইংলিশরা। তবে, বাংলাদেশের জন্য আশার কথা, শেষ তিন বারের দেখায় টাইগারদের জয় দু’টিতে।