অনলাইন ডেস্ক ॥
মেরি কেইরি একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্স। ১৯১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েলসের কার্ডিফে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার জন্মের পরপরই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মহামারী স্পানিশ ফ্লু। মাত্র চার বছর বয়সেই প্রথম দফায় মহামারীতে বিপর্যস্ত বিশ্ব দেখেছেন তিনি। তবে সেই ফ্লু তাকে ছুঁতে পারেনি। কারণ স্পানিশ ফ্লুতে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন।
কেইরির বয়স এখন ১০৮ বছর। জীবদ্দশায় দ্বিতীয় মহামারী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দেখছেন তিনি। তবে এবার শুধু দেখছেন নয়, নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন ভাইরাসটিতে।
ওয়েলসের কারমার্টেনশায়ার কেয়ার হোমে থাকা কেইরি এরই মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনও নিয়েছেন। ল্যান্ডলিও’র যে ৩৭ জন ফাইজার বায়োটেকের টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদের একজন তিনি।
প্রথম ডোজ গ্রহণের পর কেইরি বলেছেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন গ্রহণের পর তিনি অনেক নিরাপদ এবং ভালো বোধ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ভ্যাকসিন পেয়ে খুবই আনন্দিত। কারণ আমরা দীর্ঘসময় ধরে এটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমরা খুবই ভাগ্যবান, যারা এটি পাচ্ছি। আর যারা এটি তৈরিতে পরিশ্রম করেছেন, তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কেইরি প্যামব্রোকশায়ারের সেন্ট ডেভিড হাসপাতাল থেকে অবসরে যান। পরে তিনি কার্ডিফের ল্যান্ডাফ হাসপাতালে ওয়ার্ড সিস্টার হিসেবে কাজ করেছেন।
কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হেল ডিডিএ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবোর্ডের সদস্যরা যখন হোম কেয়ারে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল- কে প্রথম এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। তখন প্রথম হাত তুলেছিলেন ১০৮ বছর বয়সী কেইরি।
ওয়েলসের জনস্বাস্থ্যের পরিচালক রোজ জার্ভিস এই টিকা কার্যক্রমকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি এখনও সমস্ত কেয়ার হোম বাসিন্দাদের জন্য নয়। তবে এ কার্যক্রম আমাদেরকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেবে বলে বিশ্বাস করি।