বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন ফলে ফরমালিন পরীক্ষার জন্য সরকার যে যন্ত্র ব্যবহার করছে তা সঠিক নয় দাবি করে ভুল পরীক্ষার এ যন্ত্র প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে এ যন্ত্র প্রত্যাহার না করা হলে আগামী সোমবার থেকে ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে পণ্য ওঠানামা ও আমদানি বন্ধ করে দিবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শুক্রবার রাজধানীর বাদামতলী এলাকায় ফলে ফরমালিন পরীক্ষার নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা মহানগর ফল আমদানি–রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
যে যন্ত্র দিয়ে বর্তমানে পরীক্ষা করা হচ্ছে তা পরিবর্তন করে আধুনিক মেশিন ব্যবহার করার দাবিও জানান তারা।
বায়ু দুষণের যন্ত্র দিয়ে ফলমালিন পরীক্ষা করা হচ্ছে দাবি করে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফলে কোনো ফরমালিন মেশানোর দরকার হয় না। তবে ফল পাকাতে কিছু ব্যবসায়ী কার্বাইড ব্যবহার করেন।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ম না মেনে ফল নষ্ট করছে। তারা ব্যবসায়ীদের কোনো কথা শুনতে চান না। কোনো কথা বললে তাদের দ্বিগুণ জরিমানা করেন।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ভুল যন্ত্রের মাধ্যমে সারা দেশে ফরমালিন পরীক্ষার নামে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তাতে মূলত ব্যবসায়ীদের তাজা ফল ধ্বংস করা হচ্ছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।’
এই কর্মসূচি বন্ধ না হলে সোমবারের মধ্যে বন্দর থেকে পণ্য ওঠানামা ও আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সিরাজুল ইসলাম দাবি করে বলেন, ‘ফরমালিন পরীক্ষা করার যন্ত্র ফরমালডিহাইড-৩০০’র মাধ্যমে মূলত বাতাসের ফরমালডিহাইডের বাষ্প পরীক্ষা করা হয়। ফরমালিন পরীক্ষাকারী দলের সনাক্ত করা ফলে খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (বিসিএসআইআর) প্রেরণ করলে তাতে কোনো ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাধন চন্দ্র দাস ও সহ- সভপতি সেলিমুল হক ইসা, ব্যবসায়ী হাজী বয়রাত মিয়া, শফিকুল ইসলাম, আল-আমিনসহ প্রমুখ। বাংলামেইল২৪ডটকম