বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ফরমালিনের আতঙ্কে ভুগছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তাইতো খোলা বাজার থেকে ফল কিনেন না তিনি। বাগান থেকে সরাসরি প্যাকেটজাত ফল খান তিনি। বাজার থেকে ফল কেনা নিয়ে বাড়ির লোকজনের ওপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আসন্ন রমজানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ফরমালিনের আমদানি ঠেকাতে চলতি মাসের মধ্যেই কঠোর আইন করা হচ্ছে। এতে সামারি ট্রায়াল থাকবে। যদিও সামারি ট্রায়ালে সাজা কম হয়। কিন্তু ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সামারি ট্রায়ালের সাজা কঠোর করা হবে।” পুরো বাংলাদেশকেই ফরমালিনমুক্ত করতে চান বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, তেল, চিনি ও ছোলাসহ ভোগ্য পণ্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মজুদ রয়েছে। সরবরাহে সমস্যা নেই। রমজান মাস নয়, কোনও সময়েই দ্রব্যমূল্য বাড়ার আশঙ্কা নেই।
এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য পরিবেশন করলে সমস্যা হবে না। অতীতে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, আশা করি এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা খুবই কম। তারা পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দেখতে চান।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ব্যবসায়ী এ সময় বলেন, ফরমালিন পরীক্ষার মেশিনেই সমস্যা রয়েছে। যে মেশিনটি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি আসলে ফল পরীক্ষার জন্য তৈরি করা হয়নি। তিনি আরো জানান, আসলে ফরমালিন নয়, বিশেষ করে আম পাকানোর জন্য রিফেন-৫ রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। কেমিকেলটি চীন থেকে আমদানি করা হচ্ছে। রিফেন-৫ আমদানি বন্ধের দাবি জানান তিনি।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পণ্য আমদানি করতে তিন দফায় ভ্যাট দিতে হচ্ছে। আমদানির সময় ১৫ শতাংশ বাকিটা এটিভি (অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট) এবং বিক্রির সময় দিতে হচ্ছে। ভ্যাট দিতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তা তারা একসঙ্গে দিতে চান।
এ প্রস্তাবের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বিক্রির সময় ভ্যাট নেওয়া হয়। দেশে আমদানির সময় ভ্যাট নেওয়া হয়। আমদানির সময় ভ্যাট আদায়ের তথ্য ঠিক নয় বলে জানান তিনি।