স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের পরও প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণভবনের সামনে সাংবাদিকেদের এ কথা জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দীন বলেন, ‘প্রতিবারের মতো নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আগামী ৯ জানুয়ারি তাদের প্রত্যাহার করা হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেনাবাহিনীর মেয়াদ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো নিয়ে আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৯ জানুয়ারির পরই সেনাবাহিনী তাদের দায়িত্ব শেষ করবে।’
অবরোধে ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া নিয়ে অবরোধ থাকে। কিন্তু ভোট হবে স্থানীয়ভাবে। ভোটের দিন অবরোধে কোনো অসুবিধা হবে না বলে মনে হয়। তবে আমি আশা করবো, নির্বাচনের সময় সবাই যেনো তাদের ভোটাধিকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে।’
নির্বাচনের পরিবেশ সবার জন্য নির্বিঘ্ন করা হবে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘কেবল ভোটার নয়, পাশাপাশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্য নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরি করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সংস্থাকে অনুরোধ করেছি। আমরা আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে পারবো। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের অনুরোধে সন্ত্রাসী ধরা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। এ দুটা বিষয় কন্ট্রোলে থাকলে আইন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।’
বিএনপি ছাড়া নির্বাচন প্রসঙ্গে কাজী রকিব বলেন, ‘আমরা সমঝোতার জন্যই প্ল্যান করেছিলাম। আনফরচুনেটলি সেটা হয়নি। হলে ভালো হতো। না হলেও আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করে যেতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও সংবিধানের বাধ্যবাধকতা থেকে সরার উপায় নেই। সবাই মিলে সমঝোতা হলে একটা কিছু করা যেতো।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া। সবদলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলাম। ১৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ২০ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু তারপরও আমরা সমঝোতার জন্য ৬ দিন অপেক্ষা করেছি। পরে বাধ্য হয়ে ২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করতে হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে অগ্রগতি ও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাকে জানানো হয়েছে। তফসিলের পর ২৬ জানুয়ারি থেকে সশস্ত্র বাহিনী নামানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে। নির্বাচনের সময় তার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছি।’ রাষ্ট্রপতিও নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান সিইসি।