শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > প্রয়োজনে মান্নানের সম্পত্তি ক্রোক করা হবে: এনবিআর

প্রয়োজনে মান্নানের সম্পত্তি ক্রোক করা হবে: এনবিআর

শেয়ার করুন

সটাফ রিপোর্টার ॥ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এমএ মান্নানের কর ফাঁকির অভিযোগে তার ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেছেন, কর ফাঁকি নয়, এটি তার কাছে বকেয়া কর। গত ২০০৭-০৮ করবর্ষে তার কাছে এই কর নির্ধারণ করা ছিল। তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও তা তিনি দেননি। মামলায় আমরা জিতেছি। এরপর জব্দের এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া উনি মরে গেলেও এই টাকা দিতে হবে। প্রয়োজনে তার সম্পত্তি ক্রোক করা হবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য বশির উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ আমিনুল করীম, ফরিদ উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, রাহেলা চৌধুরী প্রমুখ। আগামী শনিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে এনবিআর একজন প্রার্থীর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনবিআর বিশেষ উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে দাঁড়ালে পাওনা টাকা চাওয়া যাবে না- এটা কোন যুক্তি? তিনি কেন এত দিন এটি ঝুলিয়ে রাখলেন? তিনি আয় দেখিয়েছেন কিন্তু আয়ের উৎস দেখাননি। তিনি ঢাকার করদাতা ছিলেন। গাজীপুরে গেলেন কিন্তু সেটা গাজীপুর অফিস জানে না। সাবেক এই বাণিজ্যসচিব বলেন, রাজস্ব আদায় করার জন্য আমরা অনেক হিসাব জব্দ করেছি। সেখানে অনেক বড় রাজনৈতিক নেতাও রয়েছেন। তবে তিনি এ কর পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে ইনকাম ট্যাক্স আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। এমএ মান্নানের কর ফাঁকির অভিযোগে গত ৫ই জুন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গুলশান শাখায় তার হিসাব জব্দের নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি দেয় এনবিআর। নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাপিটাল প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক এম এ মান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০১ টাকার পুরনো পাওনা পরিশোধ করেননি মান্নান। এর মধ্যে ২০০৭-০৮ করবর্ষের বকেয়া রয়েছে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮১ টাকা। বাকি ১৭ হাজার টাকা পাওনা ২০১১-১২ করবর্ষে। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তবে রাজস্ব পাওনা পরিশোধ করলে ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়া হবে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এমএ মান্নান স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে যে আয়কর বিবরণী দাখিল করেন তাতে তিনি মোট আয় দেখিয়েছেন ৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এর বিপরীতে তিনি কর বাবদ পরিশোধ করেছেন ৭০ হাজার ৪১৪ টাকা। কিন্তু এনবিআরের হিসাবে, ২০০৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর শেষে মান্নানের মোট আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৮ টাকা। এ আয়ের বিপরীতে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮১ টাকার কর দাবি করে এনবিআর।