শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > বিনোদন > প্রেম হারিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছেন নেহা কাক্কার

প্রেম হারিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছেন নেহা কাক্কার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মানসিক অবসাদে ভুগছেন ভারতীয় আলোচিত কণ্ঠশিল্পী নেহা কাক্কার। সম্প্রতি তাকে নিয়ে নানা জল্পনা চলছে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে।

আর এসব জল্পনার মাঝে বিষয়টি স্বীকার করেও নেন এ জনপ্রিয় গায়িকা।

গত শুক্রবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখলেন তিনি। অনেকটা যেন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নেহা।

তিনি লেখেন, ‘হ্যাঁ আমি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। পৃথিবীর সব নেতিবাচক মানুষকে ধন্যবাদ। আপনারা আমায় জীবনের সব থেকে খারাপ দিন দেখালেন। অভিনন্দন, আপনারা সফল।,

ভারতীয় এই গায়িকা যে সতিই মানসিকভাবে ভারাক্রান্ত তা সামাজিকমাধ্যমে তার আরেকটি লেখায় স্পষ্ট হয়েছে।

যারা তার গানকে পছন্দ করেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পোস্টটি বিশেষ কারও জন্য নয়। আমি কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তা না জেনে যারা আমাকে কটাক্ষ করছেন, তাদের কাছে অনুরোধ আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। আমাকে আমার মতো করে বাঁচতে দিন।,

তার ব্যক্তিগত জীবনকে কেন সামাজিকমাধ্যমে টেনে আনা হচ্ছে সে বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

যদিও সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে এক সাক্ষাৎকারে ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন ভিন্নরকম কথা।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার স্বপ্নের জীবনযাপন করছি। এমন যে কোনোদিন হবে ভাবিনি। একজন গায়িকা হিসেবে মানুষ আমাকে যে উচ্চতায় বসিয়েছেন, তা অকল্পনীয়।,

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাবেক প্রেমিক হিমাংশুকে হারিয়ে কেঁদেছিলেন নেহা কাক্কর। যে ছবি রীতিমতো ভাইরাল।

পুরনো প্রেমের স্মৃতি মনে করে ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন- ‘জানতাম না, জগতে এত খারাপ মানুষ আছে। সব কিছু হারিয়ে এখন তা বেশ বুঝতে পারছি।’

তার এমন পোস্টের পর অনেক নেতিবাচক মন্তব্য জমা পড়ে সেখানে। এ ঘটনার পরই গত শুক্রবার তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত বলে জানান।

প্রসঙ্গত মাত্র তিন মাস আগে ইন্ডিয়ান আইডল টেনের সেটে নিজেদের প্রেমকে সবার সামনে নিয়ে এসেছিলেন নেহা ও হিমাংশু। কিন্তু এর মধ্যেই সব শেষ। একজন আরেকজনের মুখ পর্যন্ত দেখছেন না।

নেহা কাক্কার ‘দিলবর রিডাক্স, মানালি ট্রান্স, কালা চশমা’র মতো গান গেয়ে বিখ্যাত। তিনি অনেক রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। নেহার শেষ গান আঁখ মারে মিউজিক চার্টের এক নম্বরে ছিল কয়েক দিন আগেই।