রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > প্রেমিক কি আদর্শ স্বামীও হতে পারেন?

প্রেমিক কি আদর্শ স্বামীও হতে পারেন?

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আদর্শ প্রেমিক বলতে যা বোঝায়, সে কি একজন ভাল স্বামী হতে পারেন? এ প্রশ্নটি সম্ভবত পৃথিবীর সকল প্রেমিকাকেই বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। একজন অভিনেতার কথাই ধরুন। এই প্রেমিকের দাবি, তিনি নিঃসন্দেহে একজন আদর্শ স্বামী হবেন। যুক্তি তুলে ধরেছেন, ডিম দিয়ে যতরকম খাবার আছে তার সবই সুস্বাদু করে বানাতে পারদর্শী তিনি। কিন্তু ব্যাপারটি যদি এতই সহজ হতো তাহলে সব মেয়েই সেরা শেফকে আদর্শ স্বামীর কাতারে ফেলতেন।

আসলে সম্পর্কের বিষয়টি বড়ই জটিল এবং বৈচিত্রময়। আবার সহজও বটে। প্রাণের প্রিয় প্রেমিকের সাথে যেমন সুন্দর সময় কাটবে আপনার, তেমনি খুব খারাপ পরিস্থিতির ভিতর দিয়েও যেতে হবে। এবার আপনাকে তিনটি মৌলিক পরামর্শ দেয়া যাক। যে সকল ভাল প্রেমিকের মাঝে ভাল স্বামীও লুকিয়ে আছে, আশা করি এর মাধ্যমে তাদের সন্ধান পেতে আপনার সুবিধে হবে।

সে বোঝে আপনি এবং সে দুজনই সমান:

যেকোনো ক্ষেত্রে দুজনই সমান- এ নীতিটি মূলত সম্পর্কের ভারসাম্যতা রক্ষা করে। ভাল হোক বা মন্দ, সব কিছু সমানভাবে ভাগাভাগি করে নিলে তার ফলাফলও আপনারা পাবেন সমানভাবে। একজন সচেতন ফ্যাশন ডিজাইনার বলছেন, ‘একটু জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে গেলেই আমি ধাঁধায় পড়ে যাই। তাই যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমি আর আমার ভালবাসার মানুষটি একসাথে নিই। সেও তাই করে। এতে করে সিদ্ধান্ত ভুল হোক বা ঠিক, দুজনেই তা শেয়ার করে নিতে পারি। এটা জীবনের যেকোনো বিষয়ে হতে পারে। এই ভাগাভাগির বিষয়টিকে খুবই ইতিবাচক মনে করেন মনোবিজ্ঞানী ডায়ানা শেরিয়ান। তাঁর মতে, ‘আপনার ছোট থেকে বড় সব ধরনের সিদ্ধান্তহীনতায় প্রিয়জনের সাহায্য নিন। সে নানা ধরনের পরামর্শ বা সিদ্ধান্ত দেবে। তাতেই আপনি বুঝতে পারবেন, এই মানুষটি আপনার আদর্শ স্বামী হতে পারবেন কি না’।

সে আপনাকে সুযোগ দেবে:

কোনো কাজে আপনার হয়তো পুরো একটা দিন প্রয়োজন। অথবা মাকে দেখতে ইচ্ছা করছে। এক রাত মায়ের কাছে থেকে আসতে চান। আপনি খেয়াল করুন, এ ব্যাপারে আপনার প্রেমিকবর কতটুকু উদার। ভাল প্রেমিক অবশ্যই আপনাকে সে সুযোগ দিতে চাইবে। এ বিষয়টি বিয়ের পরের সময়ের জন্যেও একইরকম হতে পারে। এক্ষেত্রে বহু নেতিবাচক প্রেমিক বা স্বামী রয়েছেন। দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময়ই এ জাতীয় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর্চিতা কাশিয়া তাঁর গবেষণায় দেখেছেন, ‘একজন আদর্শ প্রেমিক বা স্বামী আপনার পছন্দের কাজ করতে আপনাকে উৎসাহ বা সুযোগ দেবে। সে কিছু বিষয় পছন্দ নাও করতে পারে, কিন্তু অন্তত বাধা দেবে না’।

তার তর্ক-বিতর্ক যৌক্তিক হবে:

যেকোনো সমস্যা বা সিদ্ধান্ত নিয়ে যুগলদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা অতি স্বাভাবিক বিষয়। তবে শেষ পর্যন্ত বোঝাপড়া দিয়েই তার ইতি হওয়াটা জরুরি। মনে রাখবেন, আপনার আবদার বা দাবি কিন্তু যৌক্তিক হতে হবে। খেয়াল করে দেখবেন, ভালবাসার মানুষটি বা স্বামীও এক্ষেত্রে যৌক্তিক যুক্তি দিয়ে লড়ছেন কি না। মতভেদ হলে একজন পার্টনার আপনাকে কোনো ধরনের অপমানজনক কথা বলবেন না। আদর্শ প্রেমিককে ভাল স্বামী হিসেবে পেয়েছেন এমন এক ভাগ্যবতী নারী তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ‘আমরা অনেক সমস্যাতেই তর্ক করি। কিন্তু কখনই বাজে কথা বা কটুক্তি করি না। তবে একদিন আমি তাকে খারাপভাবে অপমান করেছিলাম। সে খুবই কষ্ট পেয়েছিল। কিন্তু আমাকে কিছুই বলেনি। তখনই আমি উপলব্ধি করলাম, ভাল প্রেমিককে আমি একজন ভাল স্বামী হিসেবেও পেয়েছি’।