বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন প্রেমিকাও। এরা হলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র শেখ নাফিজুর রহমান ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী তানজিলা জাহান লিজা (২২)।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের সিলেট নগরীর বারুতখানা ও নগরীর চারাদিঘীরপাড়ে। রোববার সকালে নিজ নিজ বাসা থেকে উভয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, নাফিজুর রহমান সিলেট নগরীর বারুতখানা উত্তরণ ৩২ নম্বর মকসুদ ভবনের ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া শেখ হাফিজুর রহমানের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলা সদরের চুলকাটি গ্রামে। অন্যদিকে তানজিলা জাহান নগরীর চারাদিঘীরপাড় আল-আমিন ১০০ নম্বর বাসার ডা. আবদুল হান্নানের মেয়ে।
নাফিজুর রহমানের বাবা হাফিজুর রহমানের বরাত দিয়ে সিলেট কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল আহমদ জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় নাফিজ। সকাল সাড়ে ৭টায় তার বাবা ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে থাই জানালা খুলে ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যরা নাফিজের লাশ নিয়ে যান।
এসআই কামাল বলেন, ‘নাফিজের আত্মহত্যার খবর পেয়ে তার প্রেমিকা তানজিলা জাহান লিজাও আত্মহত্যা করেছে বলে তিনি শুনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’
এদিকে, সোবহানীঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান, ‘রোববার সকাল ১০টায় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লিজা। তার রুম থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। চিঠিতে লিখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়’।’
লিজার আত্মহত্যার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান রবিউল ইসলাম।
জানা গেছে, লিজা এবছর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ জানান, আত্মহত্যার দুই ঘটনায় থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।