বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাজধানীর কুড়িল এলাকায় প্রেমিকার বাসায় গিয়ে আশিক এ এলাহী (২০) নামে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) ভোরে কুড়িল পূর্বপাড়া এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসায় এলাহীর প্রেমিকা অন্য একজন মেয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।
তবে পরিবারের দাবি, ‘এলাহী আত্মহত্যা করতে পারে না, বিষয়টি রহস্যজনক।’
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুজনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি আজ সকালে মেয়ের বাসায় গিয়ে, আজই বিয়ের কথা বলে। মেয়েটি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ছেলেটি বলে- আত্মহত্যা করব। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়েটি বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ঘরে ফিরে এলাহী কোমরের বেল্ট দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে থাকতে দেখে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসার মালিক পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এলাহীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে এলাহীর আত্মীয় পরিচয়দানকারী নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, এলাহী এআইইউবির পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। তার সহপাঠী এক মেয়ের সঙ্গে এক-দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি অন্য এক মেয়ের সঙ্গে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
সকালে এলাহীর প্রেমিকা আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। আমরা ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি, ওই মেয়ের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নাজমুস সাকিব আরও বলেন, এলাহীর উচ্চতা ছয় ফিট, সে কোনোভাবেই জানালার সঙ্গে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার মৃত্যু রহস্যজনক।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত এলাহীর গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দালালবাজার গ্রামে।