শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > প্রিপারেটরি স্কুলে একজনের স্থায়ী বহিষ্কার

প্রিপারেটরি স্কুলে একজনের স্থায়ী বহিষ্কার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রী যৌন হয়রানির তদন্ত সম্পন্ন করেছে গঠিত তদন্ত কমিটি। কলেজ শাখার শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ওয়াই গোপাল নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশ অনুযায়ী সোমবার দুপুরে কলেজের নোটিশ বোর্ডে এ সিদ্ধান্তসহ অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির ট্রাস্টি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ম. তামিম।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রী যৌন হয়রানির ঘটনায় আলাদা আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্কুলের ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য ম. তামিম বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শেষ করেছে। কমিটি ওয়াই গোপাল নামে একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা ছিল, এখন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
এছাড়া উপাধ্যক্ষ জিন্নাতুন নেছা বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে আমরা সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছি। তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে, অভিযোগের সত্যতা আছে কি না। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেয়া হবে। এর আগে পর্যন্ত তিনি তার দায়িত্বে থাকবেন না।
এদিকে রোববার মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক এলিয়াছ হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। অন্য দুই সদস্য হলেন- মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) এ কে মোস্তফা কামাল ও ঢাকা আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের বিদ্যালয় পরিদর্শক কামরুন নাহার।
সোমবার থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে কাজ শেষ করার নির্দেশ নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে ওই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশে দেরি করছে অভিযোগ করে গত শনিবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন অভিভাবকরা। অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও বিদ্যালয়ের কিছু কক্ষ ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষোভের মুখে উপাধ্যক্ষ ও দুই কর্মচারীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সেই সঙ্গে সকল পুরুষ কর্মচারীকেও সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে ২৫ মে পর্যন্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।