রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > প্রিন্স মুসার যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেলে মামলা

প্রিন্স মুসার যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেলে মামলা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: কথিত ‘ধনকুবের ও প্রিন্স’ ফরিদপুরের মুসা বিন শমসেরের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে মামলার কথাও জানিয়েছেন সংস্থাটি।

ফরিদপুরে তিনি ‘নুলা মুসা’ হিসেবে সমধিক পরিচিত।

বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক।

সম্প্রতি মুসার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যে প্রতিবেদনে ফরিদপুরের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিতের বক্তব্য রয়েছে। তাদের কেউ কেউ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্য মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ওইসব সাক্ষীদের দাবি, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসা ফরিদপুরে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সানাউল হক বলেন, ‘তার (মুসা) বিরুদ্ধে অভিযোগ আসেনি। তদন্ত সংস্থার সাত বছর অতিক্রম হয়েছে। অভিযোগ আসেনি। যে দু’জন সাক্ষী বক্তব্য দিয়েছেন সে দু’জন আমাদেরই সাক্ষী। তাদের সম্পর্কে কথা বলতে চাই না’।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কথা বলতে পারি, কোনো রাজনৈতিক পরিচয়, সামাজিক পরিচয়, অর্থনৈতিক পরিচয় কোনো সময়েই আমাদেরকে কোনো মামলার ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিরত রাখতে পারেনি। ওই দু’জন সাক্ষী পরিচিত। তারা অন্য দুই মামলার সাক্ষী। কাজেই তারা যেহেতু বলেছেন, এ মামলা অনুসন্ধানে তো আছেই। আমরা অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদের তাদের (সাক্ষী) সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবো। এবং ফলাফল যদি কিছু হয় আপনারা জানবেন’।

তদন্ত শুরু করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সানাউল হক বলেন, ‘অনুসন্ধান চলছে’।

অনুসন্ধানের কোনো অগ্রগতি আছে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন অগ্রগতি হবে, তখন মামলা দায়ের করবো’।

অনুসন্ধান শুরুর সময়ের বিষয়ে সানাউল হক বলেন, ‘অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে’।

মুসার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফাইলে তালিকাভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হয় না। প্রমাণ পেলে মামলা হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হবে’।

অনুসন্ধান কবে শেষ হবে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সানাউল হক বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতবাণী করি না। স্পেকুলেটও করি না। আমরা ফ্যাক্টস অনুসারে আগাই। যখন ফ্যাক্টস আসবে, তখনি আগাবো। এ ব্যাপারে টাইমলাইন দেওয়ার অধিকার আমার নেই। আমরা আরো অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে আছি। তার মধ্যে হামদর্দের একজন ট্রাস্টিও রয়েছেন’।