রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা : স্বঘোষিত ধনকুবের ও রহস্যময় ব্যক্তিত্ব প্রিন্স মুসা খ্যাত মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) নিয়মিত বৈঠকে মামলার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের বিদায়ী কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু জানান, আগামী কালের মধ্যে মামলাটি হতে পারে।
দুদকে প্রিন্স মুসা

ডেটকো গ্রুপের মালিক মুসা বিন শমসের। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধানে গত ৪ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিলেন অনুসন্ধানী কর্মকর্তা। কিন্তু একদিন আগেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ ডেথ ফোবিয়ার (মৃত্যু আশঙ্কা) কথা জানিয়ে হাজিরা দিতে তিন মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন তিনি। মুসা বিন শমসেরের পক্ষে তার জনশক্তি প্রতিষ্ঠান ডেটকো প্রাইভেট লিমিটেডের এক কর্মকর্তা দুদক চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদনটি করেন। আবেদনটি বিবেচনা করে ১০ কর্মদিবস সময় দিয়ে ২৮ জানুয়ারি ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি বলেছেন, সুইস ব্যাংকে তার ১২শ কোটি ডলার রয়েছে; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসাবে)। যৌথ অ্যাকাউন্টকাধারীদের মাঝে তারই নিজস্ব অ্যাকাউন্টে এই টাকা আছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে যৌথ অ্যাকাউন্টধারীদের সঙ্গে ‘ডিড অব অ্যাগ্রিমেন্ট’ থাকার কারণে ওই অ্যাকাউন্টে অন্যদের কী পরিমাণ অর্থ রয়েছে এবং ওই অ্যাকাউন্টের অংশীদার কতজন সে বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।

এছাড়াও সম্পদ বিবরণীতে বলা আছে, সুইস ব্যাংকের আরেক অ্যাকাউন্টে তার ৯০ মিলিয়ন ডলারের (৭১১ কোটি টাকা) সমপরিমাণ প্লাটিনাম, হীরা ও স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। এছাড়া, সম্পদ বিবরণীতে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশানের ৮৪ নম্বর রোডে ‘দ্য প্যালেস’ নামে ১৫ নম্বর বাড়িটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ২০ কোটি টাকা নিয়েছেন মুসা বিন শমসের। ওই বাড়িটি তার নামে ছিল। পরে তিনি তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা চৌধুরীকে বাড়িটি দান করেছেন। এছাড়া গাজীপুর ও সাভারে তার নামে ১ হাজার ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। তার কাছে ওইসব জমির দলিল থাকলেও জমিগুলো দখলে নেই। জমিগুলোর দখল ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।