শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজাকার-আলবদর মতাদর্শের লোকজন: বিচারপতি মানিক

প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজাকার-আলবদর মতাদর্শের লোকজন: বিচারপতি মানিক

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, তালেবান-ইবলিশ যারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তা সফল হবে না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে শক্তি দিয়ে আমরা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মোকাবেলা করেছিলাম, সেই শক্তি দিয়ে তাদেরকে রুখে দেব।

শনিবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সকালে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় যাদুঘরের সামনে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও কুমিল্লার মুরাদনগরের সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের অপপ্রয়াস, অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকি, ধর্মপ্রাণ শহিদুন্নবীকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তি, শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার, সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে গণঅবস্থান করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এই গণঅবস্থান সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে।

এতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাংবাদিক আবেদ খান, পরিষদের অন্যতম সভাপতি উষাতন তালুকদার, নির্মল রোজারিও, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম প্রমুখ।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে (আওয়ামী লীগ সরকার) উৎখাত করতে এই ষড়যন্ত্র চলছে। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজাকার-আলবদর মতাদর্শের লোকজন রয়েছে। যে কারণে মাইকিং করে হামলা করার ঘোষণার পরও তা রুখে দেয়া যায় না।

অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সব হামলার পর লোক দেখানো গ্রেফতার ও বিচার হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেব। এ জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানানো চলবে না। এদেশে তালেবান আল-কায়েদার কোনো স্থান থাকবে না।

উষাতন তালুকদার বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়ন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আপনি সাম্প্রদায়িক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আপনার সরকারকে বিতর্কিত করতেই একটি গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।