শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > ‘প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ শোরুমের ফ্রিজে রাখা হয়’

‘প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ শোরুমের ফ্রিজে রাখা হয়’

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
‘সৌদি প্রবাসী রবিনকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সোহেলের শোরুমের একটি ফ্রিজের ভেতর রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে তার মরদেহ ফ্রিজবন্দি অবস্থায় কালিয়াকৈর উপজেলার পশ্চিম বেনুপুর এলাকায় নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়।’

বুধবার বিকালে জিজ্ঞাসাবাদে আটক সোহেল ও কাউছার এ তথ্য জানান। এর পরই টঙ্গী থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর কালিয়াকৈরে বংশাই নদীর পাড় থেকে সৌদি প্রবাসী রবিন আহম্মেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রবিন আহম্মেদ (৪০) কুমিল্লার হোমনা থানা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরব প্রবাসী রবিন আহম্মেদ গাজীপুরের টঙ্গীর টাংকিরটেক এলাকায় একটি বাড়ি কিনে বসবাস করতেন। তিনি প্রায় এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন।

তিনি গত ১৫ ডিসেম্বর বিকালে টঙ্গী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

বিষয়টি তদন্তে মাঠে নামে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। পরে প্রাথমিক তদন্তে রবিন আহম্মেদ অপহরণ হয়েছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে টঙ্গী থেকে সোহেল ও কাউছার নামে দুজনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা রবিনকে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

তাদের তথ্যমতে, বুধবার বিকালে কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বেনুপুর এলাকায় বংশাই নদীর পাড় থেকে ফ্রিজবন্দি অবস্থায় ওই প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।

টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন মোল্লা জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

পরে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী রবিনকে হত্যার পর সোহেলের ফ্রিজের শোরুমের একটি ফ্রিজের ভেতর তার মরদেহ রাখা হয়।

পরে সুযোগ বুঝে তার লাশ ফ্রিজবন্দি অবস্থায় কালিয়াকৈর উপজেলার পশ্চিম বেনুপুর এলাকায় নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।