শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরেই বাংলাদেশে সংকট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরেই বাংলাদেশে সংকট

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে যদি অধিকার রক্ষার আন্দোলনে এরকম সহিংসতা চলতে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ সৃষ্টি করবে, এমনকি নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হতে পারে। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে।
পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, দেশের আজকের এই সংকটটি মূলত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকেই সিরিজ হরতালের কারণে বাংলাদেশ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এসব হরতালে সহিংসতায় বিরোধী দলগুলোর শত শত কর্মী নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও মানবাধিকার কর্মীদের। বিভিন্ন অপরাধ মামলায় আদালত বেশ কটি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। এই বিচার প্রক্রিয়া ও রায় বিচারের মৌলিক আদর্শকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবজ্ঞা করেছে।
দেশের আজকের এই সংকটটি মূলত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে। আগামী জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া মিসেস হাসিনা। আর এজন্যে যেকোনো মূল্যে বিরোধী দলের সামনে তিনি নিজেকে নিরপেক্ষ বলে প্রমাণ করতে চান। ২০১১ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারাটি সংবিধান থেকে তুলে দেন। এই সরকারের হাতেই নির্বাচনের আগে তিন মাসের জন্যে ক্ষমতা অর্পণ করা হতো। এর পরিবর্তে মিসেস হাসিনা একটি ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠন করেছেন যার প্রধান আবার তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে এই সরকার গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ জামায়াতে ইসলামীকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ করেন এমন অনেক লোক যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার জন্যে যুদ্ধ করেছিলেন তাদের ভয়, বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দলগুলো দেশের ভিত্তির জন্যে হুমকিস্বরূপ। কিন্তু আগামী নির্বাচন থেকে বিরত রাখলে জামায়াতে ইসলামীর হতাশ নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
অন্যদিকে, ১৯৭১-এ পাকিস্তানের সহায়তাকারীদের নৃশংসতার বিচার করার জন্যে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় মূলত বিরোধী দলের নেতাদেরকে নির্যাতন করার জন্যে।
বাংলাদেশে যদি অধিকার রক্ষার আন্দোলনে এরকম সহিংসতা চলতে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ সৃষ্টি করবে, এমনকি নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচার ব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে, মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে একত্রে কাজ করে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে একটি গ্রহণযোগ্য অর্ন্তর্বতী সরকার গঠন করতে হবে।