বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করছেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশে এক কথা বলেন, বিদেশে বলেন অন্যকথা। নিউইয়র্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন- সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। কারণ এখন পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের সকল পদক্ষেপ একতরফা নির্বাচনেরই আলামত। কিন্তু এবার আর একতরফা নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না শেখ হাসিনা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলা সরকার গুম, বেআইনি হত্যা, নির্দোষ মানুষদের গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে হয়রানির কোনো কিছুই বাদ দিচ্ছে না। এরা মানবাধিকারকে পায়ে দলতে যে দ্বিধা করে না, তার বহু তথ্য সাবেক প্রধান বিচারপতির লেখা বই থেকে পাওয়া যাচ্ছে। সাগর-রুনী হত্যার এখনও কুল-কিনারা করতে পারেনি, অথচ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে- এসকে সিনহা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- সাগর-রুনী হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানেন। আসলে অনাচারের প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যাওয়াতে সরকার এখন দিশেহারা।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ক্ষমতার উন্মাদনা মধ্যে থাকতে চায়। এজন্য যখন যেটা প্রয়োজন অর্থাৎ গুম, খুন থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় বিরোধী নেতাদের ফাঁসাতে দ্বিধা করছে না। কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের হাতের মুঠোয়। আর এই রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়েই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে বোমা হামলার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিরোধীদল ও মতকে নির্মূলের চূড়ান্ত সীমায় উপনীত হয়েছে।’
রিজভী বলেন, গতকাল (বুধবার) সারাদেশে মোট ৭টি মামলায় ১৪৪০ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত প্রায় ৫০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবী মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রংপুর এবং মেহেরপুর থেকে ১৬ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি দলের পক্ষ থেকে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়াও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বাসভবনে গোয়েন্দা পুলিশ হানা এবং গত পরশু রাতে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর বাসভবনে পুলিশ হানা দিয়ে তার ছোট ভাই ও বোনসহ দুই ভাতিজাকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে। আমি পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।