বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে মন্তব্য বা বক্তব্য দেওয়ার অধিকার কোন মন্ত্রীর নেই। অনাকাক্সিক্ষত হলো বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। যা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অপরিপক্ষতারই প্রমাণ বহন করে। দেখা যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাদ্য নিয়ে আর খাদ্যমন্ত্রী পররাষ্ট্র নিয়ে কথা বলছেন। এটা বাংলাদেশেই সম্ভব। কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় মন্ত্রীদের মন্তব্য ও আন্দোলনকারীদের আতঙ্ক নিয়ে আলাপকালে ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি নির্যাতন এবং আন্দোলন শেষে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তার পরেও আন্দোলনকারীদের পুলিশি কর্মকা-ের কারণে যদি আতঙ্কে থাকতে হয়, তাহলে সেটি রাষ্ট্রের জন্য দারুণ দুঃখজনক। বিশেষ করে যে রাষ্ট্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে সেই রাষ্ট্রে এ ধরনের পুলিশি তৎপরতার কারণে নিরাপত্তার অভাব সৃষ্টি হবে তা কাক্সিক্ষত নয়। পুলিশের কোনো দায়িত্ব নয় আন্দোলনকারীদের উপড় চড়াও হওয়া। পুলিশ বাহিনী ও সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগ নানাভাবে আন্দোলনকারীদের পেছনে লেগে আছে। এটা অনাকাক্সিক্ষত ও অনৈতিক। আন্দোলনের একটা পর্যায় গিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা চূড়ান্ত হয়নি আমরা বুঝতে পেরেছি।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখবেন বলে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। হয়তো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও কিছু না কিছু রাখা হতে পারে, কমিটি নিয়োগ করলে কমিটি সুপারিশ করবে। তার জন্যে অপেক্ষমান থাকা উচিত। জনপ্রশাসন এখনো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ভিত্তিতে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা পায়নি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী এর পরেই দেশের বাহিরে চলে গেছেন। সব পক্ষেরই ধৈর্য ধারণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
আমাদের সময়.কম