বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক দল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দলটির সহ-দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আজ বেলা ১টা ৩০ মিনিটে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকশো নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিকট এসে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানী।
এ ছাড়া উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক কাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মো. শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম মাসুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জল, এ কে এম আবুল কালাম আজাদ, সহ-সম্পাদক এম জি মাসুম রাসেল, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন লোবান, ফরহাদ উদ্দিন, মকবুল হোসেন, ইকবাল আনসারী টিপু অংশ নেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, অমিত হাসান হাফিজ, মাহমুদুল বারী, তোফাজ্জল হোসেন, সদস্য এ বি এম মুকুল, আলাউদ্দিন জুয়েল, জসিম উদ্দিন, এইচ এম জাফর আলী খান, জেড আই কামাল, ইঞ্জিনিয়ার আতিক, বাবুল সারেং, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, ডা. মো. জাহেদুল কবির জাহিদ, হাজী নুরুল্লাহ, সরদার নুরুজ্জামান, মো. মোর্শেদ আলম ও শাহে আলম প্রমুখ নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার মনে করেন, কিন্তু তার সেই চেতনায় গণতন্ত্র নেই। একদলীয় পার্মানেন্ট ক্ষমতায় থাকার চেতনাই হচ্ছে একমাত্র চেতনা প্রধানমন্ত্রীর। মুক্তিযুদ্ধের মূল স্পিরিট গণতন্ত্রকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে থেকে মুছে দিয়ে বাকশালী চেতনাকে সংযুক্ত করে তার নিজের মতো এক অদ্ভুত চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালাতে চাচ্ছেন তিনি, আর এজন্য গণতন্তের সব প্রতিষ্ঠানে বাকশালের কালো থাবা বিস্তারে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ আইন-আদালত-প্রশাসন-নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার অধীন। বাকশালী চেতনার ধারক হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন গণতন্ত্রকে সাদা কাফনে পেঁচিয়ে ফেলে গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতীক বিএনপি চেয়ারপার্সন ও চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব-এর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হলে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা বিএনপি চেয়ারপার্সন ও এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।