লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কর্ণপুর সরকারটারী এলাকার নিরীহ মানুষের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার মিথ্যা মামলাবাজ, প্রতারক, আওয়ামী লীগের পাতি নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম-এর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জুম্মার নামাজ বাদ লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুরস্থ সরকারটারী জামে মসজিদের সড়কে লালমনিরহাট সদরের মোগলহাট এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোগলহাট ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, মোগলহাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মন্ডল মজনু, মোগলহাট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জোনাব আলী প্রমুখ। এ সময় মোগলহাট ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের কর্ণপুর, সরকারটারী, চওড়াটারী, মন্ডলটারী, গাড়িয়ালটারী, পূর্ব ব্যাপারীটারী, খানাটারী, মাঝাটারী, কাটানদিঘী এলাকার হাজারও নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত লোকজন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এদিকে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে জনৈক জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক দূর্নীতি দমন কমিশনের গত ২১/০৪/২০২৫ইং তারিখের অভিযোগ প্রসঙ্গে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) এলাকাবাসী পক্ষে মেহেদী হাসান এ অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মেহেদী হাসান উল্লেখ করেন, আমরা সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কর্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই মর্মে লিখিত অভিযোগ করিতেছি যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের গত ২১/০৪/২০২৫ইং তারিখের গণশুনানীতে অংশ গ্রহণকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম একজন ফ্রট মামলাবাজ ও প্রতারক। প্রতারনার মাধ্যমে সে একই জমি ৪/৫জনের নিকট মূল্যের ৭৫% টাকা নিয়ে রেজিষ্ট্রি (সাব কবলা) করে না দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে বাড়ী ছাড়া করে রাখেন। জমি রেজিস্ট্রারী করে নেয়া বা টাকা ফেরৎ চাওয়া তো দুরের কথা মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য থানা, উকিল কোর্টে দৌড়া দৌড়িতে তার জীবন শেষ। জমি কেনার টাকা ফেরৎ চাওয়ার সাধ এভাবেই সে মিটিয়ে দেয়। অনুরুপ ভাবে তার বাপ দাদা কর্তৃক ইতিপূর্বে জমি বিক্রয়ের দলিল পত্র থাকার পরও ক্রেতাগণের নিকট জমি দাবী করে। জমি ছেড়ে দিতে বলে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি দ্বারা বিচার ডাকিলে সে হাজির হয় না। জমি দাবী করে কোটে মামলা দেয় না। বিবাদীগনকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে বাড়ী ছাড়া করে জমি দখলে নেয়ার পায়তারা লিপ্ত। নিজের মেয়ের বিয়া মেনে নিয়ে জামাতার বাড়ীতে মাছ, দুধ ও ফলমূল পাঠায়ে আর্শিবাদ করে। জামাতার বাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে মেয়ে জামাতাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে এসে দড়ি দিয়ে বেধে মারধর করে তারিয়ে দেন। কয়েকদিন পর মেয়ে ছেলের বাড়ীতে পালিয়ে গেলে জাহাঙ্গীর আলম থানায় মিথ্যা মামলা আনায়ন করেন। পুলিশ নিয়ে এসে মেয়েকে উদ্ধার করতে ঘর ঢুকলে মেয়ে ছুরি নিয়ে পুলিশকে হুমকি দেয় যে, আমাকে ছুলে আমি এই ছুরি নিজের গলায় ফোজ দিব। পুলিশ মেয়ে উদ্ধার না করে ফেরৎ যায়। কিছু দিন পর বাহিরের ৪/৫জন ভাড়াটিয়া লোক ঘরে ঢুকে মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। তার ২দিন পর নিজের জামাতাকে অস্বীকার করে। জামাতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দেয়। এভাবে সে এলাকার মানুষকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে চরম অশান্তি ও হুমকির মুখে ফেলে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে। অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন তাহার হাত হইতে পরিত্রান পাওয়ার জন্য সরে জমিনে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জনাবের মর্জি হয়।