সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > প্রচলিত বেশিরভাগ এনার্জি ও ফ্রুট ড্রিংকসই ক্ষতিকর : জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

প্রচলিত বেশিরভাগ এনার্জি ও ফ্রুট ড্রিংকসই ক্ষতিকর : জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
বাজারে প্রচলিত এনার্জি ও ফ্রুট ড্রিংকসের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যের জন মারাত্মক ক্ষতিকর। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় ওঠে এসেছে এমন তথ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পানীয় দীর্ঘ মেয়াদে খেলে কিডনী জটিলতা, ডায়াবেটিক ও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের জন্ম দিতে পারে। তাই এনব পানীয় পান থেকে বিরত থাকতে বলছেন তারা।

শহর কিংবা গ্রাম, দেশজুড়ে কোমল পানীয় বাজার দখল করে আছে এনার্জি ও ফ্রুট ড্রিংক। আকর্ষনীয় নাম আর চোখ ধাঁধাঁনো বিজ্ঞাপনে ক্রেতাদের মন জয় করে নিতে সফলও হয়েছেন তারা।

ক্রেতারা বলছেন, ‘শরীরে শক্তি না থাকলে এগুলো খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি হয়। আমাদের কাছে মনে হয় এগুলো খেলে সামান্য উপকার হবে তাই খাই।’

তবে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় ওঠে এসেছে মারাত্মক এসব তথ্য। বাজারে প্রচলিত এনার্জি, ফ্রুট ড্রিংক ও কার্বো হাইড্রেড ড্রিংকসহ মোট ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে এর অধিকাংশ পানীয়তে মিলেছে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন, সেকারিন ও সোডিয়াম এর উপস্থিতি। আবার কোনোটিতে রয়েছে যৌন উত্তেযক উপাদান ও এলকোহলের উপস্থিতিও।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. এ কে এম জাফর উল্লাহ বলেন, ১৮টি স্যাম্পলের মধ্যে সেক্স উত্তেজক ওষুধ, বায়োগ্রার উপাদান, সিলডিফিন, অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন এবং ৪টির মধ্যে এলকোহল পাওয়া গেছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, যতটা সম্ভব এই পানীয়গুলো পরিহার করতে হবে। যাদের ডায়বেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট বা ব্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের পানীয়গুলো সরাসরি বা ধীরে ধীরে ক্ষতি করে।

এদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকটের কারণেই নিয়মিত মনিটরিং করা সম্ভব না হলেও এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে কাজ করছেন তারা।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, আমরা নমুনা সংগ্রহ করে দেখবো। বিধান অনুযায়ী যদি ক্ষতিকর কোনো কিছু থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এছাড়া এসব পণ্য তৈরি ও বাজারজাত নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। -সময়টিভি