শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > প্যানেলভুক্ত ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ অনিশ্চিত

প্যানেলভুক্ত ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ অনিশ্চিত

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্যানেলভুক্ত করে রাখা ২৬ হাজার সহকারী শিক্ষকের ভাগ্য। পর্যায়ক্রমে নিয়োগের কথা থাকলেও এক বছরে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক নিয়োগের পর তা স্থগিত হয়ে যায়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হওয়ার পর তাদের বিষষে কোনো কিছু করার নেই।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে নিয়োগবঞ্চিত সারা দেশ থেকে আসা এসব শিক্ষক সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবেন।

মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা জানান, নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।

ওই বছরের সরকারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষককে প্যানেলভুক্ত করা হয়। নিবন্ধিত বিদ্যালয়ে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে গত বছর প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের পর থেকে তারা আর নিয়োগ পাননি।

গত ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। সে সময় ২৬ হাজার ২০০ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ছয় মাসের মাথায় গত ১০ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ড. আফছারুল আমিন মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২২ হাজার ৯২৫টি এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের কথা জানান। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই এসব শিক্ষক সরকারি সুবিধার আওতায় আসবেন।

এরপর কয়েক দফায় প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের ব্যাপারে সরকারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে শিক্ষকরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদনও করেন।

প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে তাহেদুল ইসলাম লিটু, মিজানুর রহমানসহ একাধিক শিক্ষক বলেন, শূন্য পদে নিয়োগের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। এসব প্রার্থীর অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে।

শিক্ষকরা বলেন, ২৬ হাজার শিক্ষককে অপেক্ষমাণ রেখেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে সরকার।

তাদের দাবি, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেন তাদেরকে কোটাভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।

অবিলম্বে দাবি মানা না হলে শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ড. আফছারুল আমিন বলেন, নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র জন্য তাদেরকে প্যানেলভুক্ত রাখা হয়েছিল।

সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ফলে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেই। নিয়োগদানে কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই, বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।