শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > পৌর নির্বাচনে মাঠে নামবেন খালেদা

পৌর নির্বাচনে মাঠে নামবেন খালেদা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে গণসংযোগে নামবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে রাজধানীর আশপাশের পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার মধ্য দিয়েই প্রচার শুরু করবেন। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা রোডম্যাপ তৈরি করছেন। কবে কখন কোন এলাকায় যাবেন তা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে চূড়ান্ত করা হবে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, খালেদা জিয়া নির্বাচনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। মামলা-হামলার কারণে যেসব নেতাকর্মী এলাকাছাড়া, তারা নির্বাচনী মাঠে ফিরে আসার সাহস পাবেন। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মাঝে চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার আশপাশে যেসব পৌরসভায় নির্বাচন হবে, তার মধ্যে আছে ঢাকা জেলার ধামরাই ও সাভার, নারায়ণগঞ্জের তারাব ও সোনারগাঁ, মানিকগঞ্জ সদর ও সিংগাইর, মুন্সিগঞ্জ সদর ও মিরকাদিম, নরসিংদী সদর, মাধবদী, মনোহরদী প্রমুখ। একই দিন সারা দেশে ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে।
সূত্র জানায়, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন পরিচালনা ও সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ১৯টি টিম। বৃহত্তর ১৯ জেলার প্রতিটিতে একটি করে টিম কাজ করছে। তারা স্থানীয়ভাবে নির্বাচনকেন্দ্রিক যাবতীয় তথ্যকেন্দ্রে পাঠানো শুরু করেছেন। প্রশাসনসহ ক্ষমতাসীন দলের কোনো নেতা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখবে এই কমিটি। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানিসহ যাবতীয় অনিয়ম কেন্দ্রে অবহিত করবেন তারা। এদিকে সারা দেশে নির্বাচন মনিটরের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমে তুলে ধরাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখতে যে কোনো অনিয়ম তাৎক্ষণিকভাবে তাদের (ইসি) অবহিত করা হবে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে যাচ্ছি আমরা। সারা দেশে নৌকা ও ধানের শীষের এ লড়াইকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবকিছুই করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনেই তারা প্রচার চালাবেন। যেহেতু চেয়ারপারসন সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন না, তাই তার নির্বাচনী প্রচারে নামতে কোনো বাধা নেই। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে দলের চেয়ারপারসন অবশ্যই এ সুযোগ কাজে লাগাবেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনে সংশয় প্রকাশ করে মাহবুব বলেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে নানা সংশয় রয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সন্দেহ ও আস্থাহীনতা আছে। সরকারের আইন-শৃংখলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের অতীতের কার্যকলাপ উৎসাহব্যঞ্জক নয়।
খালেদা জিয়া নামার পর ভোটের প্রচারে ক্ষমতাসীনদের চেয়ে বিএনপি কিছুটা এগিয়ে থাকবে বলে মনে করেন দলের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে দুই নেত্রীর জনপ্রিয়তা তুলনাহীন। তারা সেখানেই যাবেন সেখানেই গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। নির্বাচনী আচরণবিধিতে খালেদা জিয়ার প্রচার চালানোর ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি এই সুযোগটি কাজে লাগাবেন। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই খালেদা জিয়া ভোটের মাঠে নামলে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে।
চূড়ান্ত প্রার্থীদের ওপর শেষ মুহূর্তের যাচাই-বাছাই চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা প্রার্থী হিসেবে যাদের চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রার্থী হবেন তাদের ভোটার তালিকায় নাম ও ক্রমিক নং কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা বা কোনো ব্যাংকে ঋণ আছে কিনা তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো কারণেই যাতে প্রার্থিতা বাতিল না হয়, সেদিকে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে। কারণ, দলটি মনে করে, ন্যূনতম অভিযোগে বিএনপির প্রার্থিতা বাতিল করা হতে পারে। যেহেতু একাধিক প্রার্থী দেয়ার সুযোগ নেই সে কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে ওই পৌরসভায় ক্ষমতাসীনরা ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ পাবে। সেই সুযোগটি দিতে চায় না বিএনপি। এদিকে কোনো কারণে দল সমর্থিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে সেখানে বিকল্প প্রার্থীও রাখা হবে, যাতে স্বতন্ত্রভাবে তারা নির্বাচনের মাঠে থাকতে পারে।