বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
চকবাজারে আগুনে পোড়া ভবনগুলো ব্যবহারের উপযোগী কিনা তা এক সপ্তাহ পর জানা যাবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এ কথা জানিয়েছেন।
শুক্রবার চকবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মেহেদী আহমেদ বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিম ও কলামগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন-চার তলার বিম ও কলাম তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
‘তবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে, ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী কিনা।’
তিনি বলেন, আগুনে পোড়া ভবনগুলোও আমরা পরিদর্শন করেছি। তবে ভবনগুলো টিকে থাকার জন্য বিম ও কলাম প্রাথমিকভাবে ভালো মনে হয়েছে। এগুলো ব্যবহারের উপযোগী কিনা পরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহ পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কমিটির প্রধান ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আগুনে পাঁচটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভবন প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের অনুমতি নেই। সরকারের নির্দেশনার পর নতুন করে লাইসেন্স দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
‘তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, যে কোনো মূল্যে সবাই মিলে এসব এলাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেয়া হবে।’
এতদিন সরানো হয়নি কেন, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবার যে কোনো মূল্যে সেসব সরিয়ে নেয়া হবে।