বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: দিন যত ঘনিয়ে আসছে সিটি নির্বাচনে ততই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে। দুই সিটির অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন তাদের টানানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব এলাকায় আওয়ামী সমর্থক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার দেখা গেলেও দেখা যায়নি বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার।
বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ রাতে বা দিনে পোস্টার টানানো হলেও তা আওয়ামী সমর্থকরা ছিঁড়ে ফেলছে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঠিক মতো নেতাকর্মীরা প্রচার চালাতে পারছে না। যারা প্রচারে নামছে তাদের হুমকিধামকি দেওয়া হচ্ছে। সরকার সমর্থকদের পাশাপাশি পুলিশ এখনো কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা উত্তর সিটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফেরদৌস আহম্মেদ মিষ্টি অভিযোগ করেন, তার এলাকায় বিএনপি সমর্থক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের টানানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং তাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এজিএম সামসুল হক সামছু বলেন, তার নামে মামলা থাকায় তিনি সরাসরি নির্বাচনি প্রচারে নামতে পারছেন না। দলের নেতাকর্মীদের দিয়ে প্রচার কাজ চালাতে হচ্ছে। তারপরও পোস্টার টানানো ও লিফলেট বিলি কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
৩২নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মতিন তিনি বলেন, ম্যাডাম প্রচারণায় নামার পর থেকে আমার এলাকায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। আগে আমরা নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারলেও এখন কঠিন হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের কর্মীদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। আগে গোপনে কাজ করতে পারলেও এখন আর পারা যাচ্ছে না। বেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী হাবিবা চৌধুরী বিথি অভিযোগ করেছেন তার এলাকায় সরকার সমর্থকরা প্রচারকাজে বাধা দিচ্ছে। তারা আমাদের প্রচারকাজে নিয়োজিত মহিলাকর্মীদের ব্যাগ কেড়ে নিচ্ছে। তাদের ব্যাগ ধরে টানাটানি করছে। প্রচারপত্র ও ভোটর স্লিপ বিতরণে বাধা দিচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে এলাকায় আমার কোনো পোস্টার দেখতে পাবেন না। আমার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি র্যাব-পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
বংশাল ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী মো. মোহন বলেন, তার এলাকায় প্রচার চালনোর কাজে নিয়োজিত কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। তারা গরিব মানুষ, টাকার বিনিময়ে আমার পোস্টার টানানো, মাইকে প্রচারকাজ করছে। তাদের মারধর করা হচ্ছে। এলাকায় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এলাকায় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। অধিকাংশ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণায় দল সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীদের পক্ষে একই প্রচার মাইক থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। আবার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের একই কর্মীরা পোস্টার টাঙানো, লিফলেট বিতরণ ও ছোট ছোট মিছিল বের করছে।