শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > পেঁয়াজের দাম বাড়াল টিসিবি

পেঁয়াজের দাম বাড়াল টিসিবি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজির দাম ৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আগামী রোববার থেকে আবার খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করবে সংস্থাটি। এদিকে পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা কাটাতে গতকাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কেজির দাম পড়বে ৫৭ টাকা। রোববার ১০০ টন পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে টিসিবি। ঢাকাসহ দেশব্যাপী ডিলারদের মাধ্যমে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম চলবে।

এদিকে মিয়ানমার থেকে দ্রুত পণ্যটি আমদানি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী এবং টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারোয়ার জাহান তালুকদার গতকাল টেকনাফ গেছেন। আজ তারা স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

গতকাল মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ভারতের পাশাপাশি চীন, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব দেশ থেকে কিছু পরিমাণ পেঁয়াজ এসেছে। এদিকে ভারত থেকে পণ্যটি রফতানির ক্ষেত্রে সে দেশের সরকারের বেঁধে দেয়া শর্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ।

আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, ভারতে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। ১০ দিনের মধ্যে ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক হবে। তখন বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক হবে বলে তারা জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি। তার হিসাবে, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় এখনো বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কম। তবে বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ভারতের নাসিক পেঁয়াজ উৎপাদনকারীরা আগাম তুলতে পারেন। তখন বাজার নিম্নমুখী হতে পারে।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে তিন দিন ধরে পণ্যটির দাম স্থিতিশীল। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৬২-৬৩ টাকা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০-৫৫ এবং চীনা পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের রাজবাড়ী ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী আবদুল মাজেদ জানান, আমদানি করা পেঁয়াজের বড় অংশ আসে ভারত থেকে। তবে বর্তমানে দেশটিতে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। অনেকে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও পর্যাপ্ত সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তান থেকে কিছু পেঁয়াজ এসেছে। তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তার মতে, কোরবানি পর্যন্ত দেশীয় পেঁয়াজের ওপরই নির্ভর করতে হবে।