স্টাফ রিপোর্টার ॥ দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড, সম্পত্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিটি করপোরেশন নগর বা সিটি পুলিশ গঠন করতে চায়। দৈনন্দিন কাজ পরিচালনায় পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায় না। এ জন্য নতুন বাহিনী গঠনের চিন্তাভাবনা করছে সংস্থাটি। এ ব্যাপারে তারা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
করপোরেশনের ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় সিটি পুলিশ গঠনের বিষয়টি ওঠে আসে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রশাসক মো. ফারুক জলিল ওই বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন। বিষয়টি নিয়ে করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হলে তারাও এ ব্যাপারে মতামত দেন।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সহযোগিতা করে না পুলিশ। এ কারণে সেবাদানকারী এ দু’টি প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সমস্যায় পড়তে হয়। নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মকাণ্ডে সার্বিকভাবে সহযোগিতার জন্য আলাদা সিটি পুলিশ গঠনের চিন্তা-ভাবনা করছেন তারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক কর্মকর্তা জানান, নাগরিক সেবার জন্য নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা, সড়ক ও ফুটপাতের রাখা নির্মাণসামগ্রী অপসারণ এবং করপোরেশনের সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করা সিটি করপোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব। এসব অবৈধ দখল এবং অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অবকাঠামো উচ্ছেদ করতে প্রায়ই পুলিশের প্রয়োজন হয়। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফোর্স না পাওয়ায় করপোরেশনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা করপোরেশনের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও পর্যাপ্ত জনবল নেই। এ সুযোগে করপোরেশনের সম্পত্তি দখল ও চুরি রোধে নতুন এই বাহিনীর প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিট করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. ফারুক জলিল বলেন, ‘নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা, সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ এবং করপোরেশনের সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করা সংস্থার অন্যতম দায়িত্ব। অবৈধ দখল এবং অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অবকাঠামো উচ্ছেদ করতে প্রায়শই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হয়। এজন্য প্রয়োজন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা।’
এ বিষয়ে সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকার্তা এনামুল হক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তারা চাইলেই এটি হয়। করপোরেশনের নিজস্ব একটি বাহিনী থাকলে আর সমস্যা হয় না।’