জেলা প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরা: ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসার সময় উদ্ধারকৃত আটটি সোনার বার গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা সদরের তুজুলপুর মোড় থেকে উদ্ধারের পর কলারোয়া থানার সহকারি উপপরিদর্শক(এএসআই) মোঃ আলাউদ্দিন এ ৮০ ভরি সোনা গায়েব করেন।
এদিকে আটটি সোনার বার গায়েব করার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খান ও সহকারি উপপরিদর্শক আলাউদ্দিনকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডাকা হয়।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার তুজুলপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ, আব্দুর রহিম ও রহিমা খাতুন জানান, বুধবার সকাল আটটার দিকে কলারোয়া থানার সহকারি উপপরিদর্শক তুজুলপুর মোড়ে এক যুবককে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আধঘণ্টা পর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামি একটি পরিবহন তুজুলপুর মাড়ে থামা মাত্রই যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের এক কুখ্যাত পাচারকারিকে আটক করেন। এ সময় তার কাছে থাকা একটি হাতব্যাগ থেকে আটটি সোনার বার উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণ পর ওই চোরাচালানিকে ছেড়ে দিয়ে সঙ্গে থাকা সোর্সকে নিয়ে তিনি মোটর সাইকেলে কলারোয়ার দিকে চলে যান। সাড়ে ৯টার দিকে ওই পাচারকারি তার পরিচয় গোপন রেখে বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করেন। পরে ৮০ ভরি সোনা ওই সহকারি উপপরিদর্শক গায়েব করে দেন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৬ লাখ টাকা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরার এক পুলিশ কর্মকর্তা সোনার বার খোয়া যাওয়ার পর ওই পাচারকারি নিজেই মোবাইল করে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কলাারোয়া থানার সহকারি উপপরিদর্শক মোঃ আলাউদ্দিন জানান, সোনা পাচার হবে এমন খবরের ভিত্তিতে এক যুবককে নিয়ে তিনি তুজুলপুর গিয়েছিলেন। কিন্তু সে খবর সঠিক না হওয়ায় ফিরে আসতে হয়।
এ ব্যাপারে কলারোয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খান জানান, ঘটনা শুনছেন। সত্যতা যাঁচাই এর চেষ্টা চলছে।