বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন পুরুষ একেক আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি পছন্দ করে আর অন্যরা হয়তো তা করে না। একজন পুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবে তাই তার কাছে সঠিক হওয়া উচিত। অন্য পুরুষরা যে রকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম যৌন আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। ধর্ষণ আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা থাকে। তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ খাড়া হওয়ার ব্যাপারটা একইভাবে হয় না এবং কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময় কেন বের হয় না। অথচ হস্তমৈথুনের সময় ঠিকই তা বের হয় ইত্যাদি। কতক পুরুষের পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে উত্থিত হলেও চরমসুখ বা যৌনসঙ্গীর সাথে চরমপুলক বা যৌন শিহরণ পেতে অসুবিধা হয়। কিন্তু যখন তিনি মাস্টারবেশন বা স্বমেহন করেন তখন কোনো সমস্যা থাকে না এর একটা মানসিক কারণ হতে পারে। তিনি যৌন আচরণকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখতে পারেন বা নারী বা যৌনসঙ্গী গর্ভবতী হয়ে যাবে এ রকমটি ভাবতে পারেন কিংবা যৌনবাহিত রোগ এড়িয়ে চলতে পারেন তিনি। আপনি যদি এ ব্যাপারে সহায়তা চান তবে মনোচিকিৎসক বা সেক্স থেরাপিস্টের সাথে সাাৎ করুন মনোচিকিৎসার দ্বারা এ সমস্যা ভালো করা সম্ভব। যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে যে উত্থিত লিঙ্গকে যৌন তৃপ্তি পাওয়া পর্যন্ত ধরে রাখা যাচ্ছে না এর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন-অসুস্থতা, কান্তি, অবসন্নতা, মনোশারীরিক চাপ, সঙ্গিনী কর্তৃক মনোকষ্ট পাওয়া, অ্যালকোহল/মদ, ড্রাগ, ওষুধ সেবন ইত্যাদি। যৌন অতৃপ্তি বা অসন্তোষ এসব সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। মানসিক সমস্যাজনিত কারণটি সমাধানের জন্য মনোবিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তা ছাড়া পুরুষটিকে জানতে হবে ও শিখতে হবে যে, কীভাবে বীর্যস্খলনের সময়কে দীর্ঘ করা যায় এবং যৌন অনুভূতি বা শিহরণকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুরুষাঙ্গকে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে একেবারে উদ্দীপিত করে আবার যৌনপুলক নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করুন যাতে কিনা বীর্যস্খলিত হতে না পারে। এভাবে কয়েক দিনে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। নিজে চেষ্টা করুন ইচ্ছা শক্তি খাটিয়ে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য। পুরুষদের মাস্টারবেশনে পুরুষাঙ্গের ব্যবহার হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি এতেও পুরুষভেদে নানা রকমারিতা দেখা যায় অধিকাংশ পুরুষের বেলাতে এ স্বমেহনে পুরুষাঙ্গের মূল দেহকে ঘষা, ওপরে ধীরে ধীরে হাত বোলানো ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুরুষাঙ্গের অন্ডথলির ত্বক বা লিঙ্গ মণিকে সরাসরি উদ্দীপিত করে স্বমেহন এ ধরনের অপোকৃত কম দেখা যায়। একদল পুরুষাঙ্গকে সমগ্র হাত দিয়ে মুঠো করে ধরে ক্রমিক চাপ দিয়ে অতঃপর ছেড়ে দিয়ে সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে। পুরুষাঙ্গের উদ্দীপনা ক্রিয়ায় সবার দৃষ্টি এক জায়গায় থাকে না। কারও কারও পুরুষাঙ্গের ভেতরের দিকে লিঙ্গ মণি সংলগ্ন ফ্রেনুলাম অংশের দিকে ঝোঁক থাকে বেশি। খাতœা করানো হয়নি এদের অনেকে পুরুষাঙ্গ অগ্রস্থ লিঙ্গত্বক সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে সুখের সন্ধান চালান উদ্দীপনা ধরনেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। সূচনাতে হাল্কাভাবে স্পর্শ বা হাত বোলানো হয়, যা অনেকটা আদর সোহাগের মতো এটি মনে হাল্কা শিহরণ জাগায়, শিহরণ যতই তীব্র হতে থাকে, উত্তেজনার মাত্রাও বেড়ে আসে নিজে থেকেই যখন চরমপুলক আসন্ন মনে হয় তখন স্পর্শন বা ঘর্ষণ উদ্দীপনা সর্বাধিক ত্বরান্বিত হয়। যখন বীর্যস্খলন শুরু হয়ে যায় তখন উদ্দীপিতকরণে বিভিন্নতা দেখা যায় কেউ কেউ উদ্দীপনা কমিয়ে দেন। কেউ কেউ হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গকে শক্তভাবে চেপে ধরে থাকেন বাকিরা উদ্দীপনা তুলে নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।