শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > পিয়াজের কেজি ১৫০ টাকা

পিয়াজের কেজি ১৫০ টাকা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গলিপথের দোকানে ১৫০। খুচরা বাজারে ১৪০। পাইকারি বাজারে ১১০ টাকা। পণ্যের নাম পিয়াজ। একবার নয়, বহুবার; কি নিম্নবিত্ত, কি মধ্যবিত্ত কিংবা কি বিত্তবান- সব শ্রেণীর গ্রাহকদের ভোগাচ্ছে এ পণ্যটি। এ চিত্র বিরোধী জোটের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনের। অথচ একই পিয়াজ প্রথম অবরোধ শুরুর আগে ছিল মাত্র ৬৫ থেকে ৮০ টাকা।

বিষয়টি জানতে চেয়েছি ব্যবসায়ীদের অভিভাবক সংগঠন এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের কাছে। তার সোজা জবাব- আরও বাড়বে। পরিস্থিতি যতই নাজুক হবে, অশান্ত হবে- ততই জীবনের স্বাভাবিকতা হারাবে সবাই। হরতাল, অবরোধ, ভাঙচুর, আগুন, জীবনের ঝুঁকি, সর্বোপরি ট্রাক ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় শুধু পিয়াজ নয়, সব কিছুতে এমন উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির এ সভাপতি। এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পিয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলায় ক্রেতা সাধারণ ভীষণ হতাশ ও উদ্বিগ্ন।

গত সপ্তাহে পিয়াজের দাম কিছুটা কমায় মানুষের মনে আশার আলো ছড়ালেও এ সপ্তাহে তা গত কয়েক মাস আগের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি গলিপথের দোকান, খুচরা বাজার ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে দেশী পুরাতন পিয়াজ ১৫০ টাকা, দেশী নতুন পিয়াজ ১৪০ টাকা এবং আমদানি পিয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি দেশী পুরাতন পিয়াজ ১১০ টাকা, দেশী নতুন পিয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা এবং আমদানি পিয়াজ ১০৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে দেশী পিয়াজ ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং আমদানি পিয়াজের দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি। চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে আমদানি করা পিয়াজের দর ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা তা এখন এসে ঠেকেছে ১৫০ টাকায়। এর আগে ভারতের বাজারে পিয়াজের দাম বাড়ায় বাংলাদেশের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়েছিল। এখন আবার রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেড়েছে পিয়াজের দাম। পিয়াজ নিয়ে রাজধানীসহ দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

পণ্যটির জন্য সারাদেশে হাহাকার পড়ে গেছে। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। তবে এ পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম থাকায় প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে এ পণ্যের দাম। নতুন পিয়াজ বাজারে আসলেও রাজধানীসহ গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারেও পিয়াজের আকাল দেখা দিয়েছে।

শ্যামবাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, হরতাল-অবরোধের কারণে পিয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম পোর্টে ৭ লাখ টাকার পিয়াজে লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে তিনি দু’-একদিনের মধ্যে পিয়াজের দামে এ ধরনের উল্লম্ফন থেমে যাবে বলেও জানান। সুমন বলেন, পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম অবরোধের কারণে বাড়ছে। আমাদের কিছু করার নেই। বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা জানান, যাদের কারণে আজ বাজারে এ অবস্থা তাদের তো আর সমস্যা নেই, সমস্যা যা সব আমাদের। আমরা গরিব মানুষ, নুন আনতে পান্তা ফুরায়; পিয়াজের যে দাম তাতে পিয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, বড় লোকেরা দাম জিজ্ঞাসা না করেই পিয়াজ ৪ থেকে ৫ কেজি কিনে নিচ্ছে। এতে কোন সমস্যা হচ্ছে না, কারণ তাদের ইনকাম ভাল।