রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > পিআইবি আইন-২০১৬’র খসড়া অনুমোদন

পিআইবি আইন-২০১৬’র খসড়া অনুমোদন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউশন (পিআইবি) আইন-২০১৬’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে পিআইবি আইন-২০১৬ এর খসড়া চূড়ান্ত করে তথ্য মন্ত্রণালয়। গণমাধ্যমকর্মীদের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার আওতায় এনে তাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে এ আইন করেছে সরকার। পাশাপাশি রেজুলেশনের মাধ্যমে গঠিত বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটকে (পিআইবি) আইনের আওতায় আনার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংবাদকর্মীদের দেখভাল করতে প্রস্তাবিত আইনের আওতায় গঠিত হবে ১৭ সদস্যের প্রেস ইন্সটিটিউট পরিচালনা বোর্ড। যার প্রধান হবেন সরকারের নিয়োগ করা একজন সাংবাদিক বা শিক্ষাবিদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, রেজুলেশনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা পিআইবির জনবল কাঠামোসহ বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এসব অসঙ্গতি দূর করতে নতুন করে প্রণয়ন করা হচ্ছে পিআইবি আইন। এটি কার্যকর হলে আইনি কাঠামোর মাধ্যমে পিআইবি আরও শক্তিশালী হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে প্রতিষ্ঠানটি। সাংবাদিকের সংজ্ঞায় আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে-‘সাংবাদিক তিনিই, যিনি একজন সার্বক্ষণিক সাংবাদিক। যিনি প্রিণ্ট অথবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। কোনো সম্পাদক, সম্পাদকীয় লেখক, সংবাদ সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, কপি রাইটার, কার্টুনিষ্ট, সংবাদ চিত্রগ্রাহক এবং প্রুফ রিডারও এর অন্তর্ভুক্ত হবেন।’ সূত্র জানায়, ১৯৭৪-এর ২৪ মে দৈনিক সংবাদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়। তখন ভাবা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির নাম হবে ন্যাশনাল প্রেস ইন্সটিটিউট। পরে ১৯৭৬ সালের ১৮ আগস্ট একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে পিআইবি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতদিন পর্যন্ত আইন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি রেজুলেশনের মাধ্যমে চলছে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও উন্নয়ন যোগাযোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রকাশনা নিয়ে কাজ করছে। পিআইবি প্রসঙ্গে খসড়ায় বলা হয়েছে- আইনের আওতায় বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট গঠন করা হবে। এটি হবে একটি স্বশাসিত সংস্থা। যার প্রধান কার্যালয় হবে রাজধানী ঢাকায়। সরকারের অনুমতিক্রমে শাখা কার্যালয়ও খোলা যাবে। ইন্সটিটিউট পরিচালনা ও প্রশাসন ১৭ সদস্যের একটি বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে। যার মেয়াদ হবে ২ বছর। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন সরকার কর্তৃক নিয়োগ করা একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক বা শিক্ষাবিদ। এর সদস্য হবেন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ কর্তৃক মনোনীত দু’জন সম্পাদক, সরকারের মনোনীত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন মনোনীত দু’জন প্রতিনিধি, তথ্য, অর্থ, জনপ্রশাসন, শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের উপরের একজন করে কর্মকর্তা, সরকারের মনোনীত সিনিয়র সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে দু’জন প্রতিনিধি। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান, পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক পদাধিকার বলে বোর্ডের সদস্য হবেন। বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন পিআইবির মহাপরিচালক। কোনো সদস্য পরপর তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে। দাফতরিক কাজে অক্ষম হলে যে কোনো সদস্যকে অপসারণ করা যাবে। প্রতি ৩ মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, বর্তমানে ১৩৪ জন জনবল দিয়ে পিআইবি চলছে। চাকরির নিয়োগ নিয়ে এদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের বৈষম্য।