স্টাফ রিপোর্টার ॥
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এ বছর ১৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের তালিকা ঘোষণা করা হবে। আগামী জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। পরিচয়পত্রের পেছনে তারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা-ও তাতে লেখা থাকবে। আগামী জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সকল কবর একই ডিজাইনে তৈরি করার প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বিসিএস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা সংযুক্ত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে অসন্তোষ আছে। যা হওয়া উচিত তা হয়নি। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শত বর্ষপূর্তির বছর ২০২০ সালে তা পূরণ করবেন।
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটি ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উদ্বোধকের বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জম্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১৫ হাজার দু:স্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর বাড়ি করে দেয়া হবে যার প্রত্যেকটির মূল্য হবে ১৫ লাখ টাকা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. রশিদুল আলম। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ মো. আখতারুজ্জামান, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো.ইকবাল হোসেন সবুজ, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাংসদ মো. বেনজীর আহমেদ, নরসিংদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মোতালেব, ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধকালীন তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও বর্তমানে তাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মহানগরীতে মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ, তাদের নামে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ ও তাদের সন্তানদের চাকুরির ব্যবস্থা করা হবে। মহানগরীর উল্লেখযোগ্য স্থানে তাদের জন্য উন্নত কবরস্থান নির্মাণ করা হবে।
শেরপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার নজরুল ইসলাম হিরু বলেন, তারা তাদের ভাতা বৃদ্ধিরও অনুরোধ জানিয়েছেন। বর্তমানে দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন আমলারা। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনটির কার্যক্রম নিজেরাই পরিচালনার জন্য তারা নির্বাচন দাবি করেছেন।
নেত্রকোনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো. নুরুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি আমাদের আদর্শের পিতা। প্রধানমন্ত্রী আদর্শের বোন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি এবং চাকুরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা পূণর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।