শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > পাচারের ঝুঁকিতে সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা

পাচারের ঝুঁকিতে সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিশু-কিশোর আর নারী রয়েছে পাচারের ঝুঁকিতে। এদের চলা-ফেরা আর বসবাসের ক্ষেত্র নেই কোনো তদারকির ব্যবস্থা। কিছু শিবিরে নিখোঁজদের সন্ধানে মাইকিং করতেও দেখা গেছে।

নিখোঁজ নারী-শিশু-পুরুষের সন্ধানে প্রায় প্রতিদিনই কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের সামনে চলছে মাইকিং। নিখোঁজদের কেউ ফিরে আসে আবার কেউ আসে না। যারা ফিরে আসে না, তারা তাহলে যাচ্ছে কোথায়। জবাব এক শিশু অধিকার কর্মীর।

জাতিসংঘের সবশেষ হিসাবে, মিয়ানমার থেকে গত এক মাসে এসেছে চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা। যার মধ্যে ৬ থেকে ১৮ বছরের শিশু-কিশোর-কিশোরী পৌনে দুই লাখ। বাবা- মা কিংবা অভিভাবকহীন শিশু-কিশোর দেড় হাজারের বেশি, যারা উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় ঘুরছে এখানে সেখানে।

নতুন-পুরানো মিলিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে এখন শিশু-কিশোর আছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ, মূলত এরাই আছে পাচারের ঝুঁকিতে। এরা কোথায় খাচ্ছে, কিংবা থাকছে নেই তার তদারকিও।

এক আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসেবে- রোহিঙ্গা আসার প্রথম তিন সপ্তাহে শুধু কুতুবপালং ও আশপাশের রোহিঙ্গা বস্তি থেকে এক হাজারের বেশি শিশু হারায়। ৫শ’র হদিস নেই এখনো।

কুতুপালং এর মতো বালুখালি, লেদা, নয়াপাড়া, শামলাপুর, হাকিমপাড়া, মইন্নারঘোনা, বার্মাপাড়া, উংচিপ্রাং, রাবার বাগান, ঠেংগাখালি এলাকায় রোহিঙ্গা বস্তিতে আছে হাজার হাজার শিশু। এদের নিয়ে উদ্বিগ্ন উন্নয়নকর্মীরাও।

টেকনাফ-উখিয়ায় ১২টি জায়গায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের চলাফেরা কড়াকড়ির ব্যবস্থা হয়েছে অবশেষে। কিন্তু এরই মাঝে যেসব শিশু কিশোর হারিয়ে যাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করার ব্যবস্থা আছে কি। এ প্রশ্ন অনেকেরই। -তথ্যসূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি