আন্তজার্তিক ডেস্ক ॥
সাধারণ নির্বাচনের দিনে পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে বোমা হামলায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
শঙ্কা আর সন্দেহ নিয়ে ভোট শুরু পাকিস্তানে
রাত পোহালেই ভোট, প্রস্তুত পাকিস্তান
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম ডন জানিয়েছে, বুধবার সকালে সারা দেশে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে কোয়েটার ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় একটি পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে ওই বোমা হামলা চালানো হয়।
কোয়েটা সিভিল হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় আহত ২০ জন তাদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হতাহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকরাও আছেন।
কোয়েটা পুলিশের মহা পরিদর্শক মোহসিন বাট বলেছেন, এ ঘটনা আত্মঘাতী হামলা বলেই তাদের মনে হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে সেখানে তদন্ত শুরু করেছে।
হাশিম গাজী নামে স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, “হামলাকারী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইছিল। পুলিশ তাকে ঠেকাতে গেলে সে নিজের শরীরে থাকা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটায়।”
কোয়েটার ওই আসনটি নির্বাচনের আগে থেকেই স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। সেখানে একটি স্কুলে ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই বাইরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের টেলিভিশনগুলোর প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছেন।
ডন জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি কেউ। বিস্ফোরণের পর কোয়েটা সিভিল হাসপাতাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার পাকিস্তানজুড়ে ২৭২টি আসনের সংসদ সদস্য ঠিক করতে ভোটগ্রহণ চলছে। সহিংসতা ও সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় ভোট কেন্দ্রগুলোর আশপাশে সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা ছিল। তার মধ্যেই এ বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটল।
গত জুলাইয়ে এ নির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকে সহিংসতা ও জঙ্গি হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
এর মধ্যে ১০ জুলাই আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) এক দলীয় বৈঠকে বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হন। এর তিন দিনের মাথায় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) এক বৈঠকে বোমা হামলায় এক প্রার্থীসহ অন্তত ১২৮ জন নিহত হন। সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম