শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > পাওনাদারদের দিয়ে স্ত্রীদের ধর্ষণ করানোই দুই ভাইয়ের কাজ!

পাওনাদারদের দিয়ে স্ত্রীদের ধর্ষণ করানোই দুই ভাইয়ের কাজ!

শেয়ার করুন

দুই ভাইকে বিয়ে করেছিলেন দুই বোন। তাদের ইচ্ছা ছিল সারা জীবন এক এক সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু বিয়ের পরেই ক্রমশ তিক্ত অভিজ্ঞতায় শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।অভিযোগের তির ওই মহিলাদের দুই স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে।অভিযোগ, মহিলার

স্বামীরা অনেকের কাছ থেকে ধার-দেনা করেছে। কিন্তু তা না মেটাতে পেরে শেষে বিপাকে পড়ে যায় মহিলাদের স্বামীরা। শেষে বাধ্য হয়ে পাওনাদারদের দাবি মতো নিজের স্ত্রীদের তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয় তারা।পাওনাদাররা লাগাতার ধর্ষণ করে তাদের। শেষে সুযোগ পেয়ে

পুলিশের কাছে এসে অভিযোগ জানান ওই দুই নির্যাতিতা মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার ভারতের মহারাষ্ট্রের বীরার। সম্প্রতি দুই বোন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান যে, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জোর করে অন্যদের সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ও ফেসবুকে একটি ছবি হাজার হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখানো হচ্ছে মুসলিমরা রাস্তা বন্ধ করে নামাজ আদায় করছেন। ওই ছবির ক্যাপশনে ভারতে মুসলিমদেরকে রাস্তায় নামাজ আদায় নিষিদ্ধ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, একটি মহাসড়কের ওপর সত্যি নামাজ আদায় করছেন হাজার হাজার মুসলিম। আর রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে

আছে বাস, প্রাইভেট কার।হিন্দিুতে এর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে- ইসলামিক দেশগুলোতে যেসব ভুল জিনিস করা হয়, তা কি করে ভারতে বৈধ হতে পারে? যদি মুসলিম দেশগুলোতে রাস্তার ওপর নামাজ আদায় নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে কেন ভারতে তা নিষিদ্ধ হবে না? কিন্তু যে ছবিটি ব্যবহার করে এসব বলা হচ্ছে, তা মুসলিমরা সড়ক অবরোধ করে বা সড়কে বাধা সৃষ্টি করে নামাজ আদায় করছেন- এমনটা প্রতিনিধিত্ব করে না। এ ছবিটি ভারতেরও নয়। এ বিষয়ে এএফপির ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়েছে ওই ছবিটি বাংলাদেশের।কিন্তু যে ছবিটি ব্যবহার করে এসব বলা হচ্ছে, তা মুসলিমরা সড়ক অবরোধ করে বা সড়কে বাধা সৃষ্টি করে নামাজ আদায় করছেন- এমনটা প্রতিনিধিত্ব করে না। এ ছবিটি ভারতেরও নয়। এ বিষয়ে এএফপির ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়েছে ওই ছবিটি বাংলাদেশের।ঢাকার টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমার সময় তোলা ছবি এটি। বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমা চলার সময় ওই ছবিটি তুলেছিলেন ফ্রিল্যান্ড ফটোসাংবাদিক ইউসুফ তুষার। গুগল সার্চে এসব তথ্য ধরা পড়েছে।তাতে ওই ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের টঙ্গিতে তুরাগ নদীর তীবে তাবলিগ জামায়াত ইসলামিক আন্দোলনের বৃহৎ জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। ১৯৪২ সাল থেকে প্রতি বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশ এই ইজতেমার আয়োজন করে আসছে। এটাকে মুসলিমদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ সমাবেশ হিসেবে দেখা হয়।টঙ্গিতে এই সমাবেশে রয়েছে সরকারের অনুমোদন। এমন কি সরকারি, বিরোধী দল সহ সব দলের শীর্ষ নেতারা পর্যন্ত এতে যোগ দেন। এ সময় ওই এলাকায় সড়ক আটকে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন না। তারা রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এ কাজ করেন না। কর্তৃপক্ষই ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন রুটে গাড়ি চলাচল সীমিত করে দেয়।কিন্তু ওই ছবিটি ভুলভাবে ব্যবহার করে ভারতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে রাস্তায় মুসলিমদের নামাজ আদায় নিষিদ্ধ করার দাবিতে। ভারতে যে ছবিটি ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ‘robertharding.com’ লেখা ওয়াটার মার্ক রয়েছে। এই শব্দটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে সার্চ করে ছবিটির মূল উৎস পাওয়া যায়।তাতে দেখা যায়, এটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফটো এজেন্সি রবার্ট হার্ডিংয়ের ওয়েবসাইটে রয়েছে। ছবির ক্রেডিট দেয়া হয়েছে ইউসুফ তুষারকে। এরপর গুগলে আরো সার্চ করা হয়। একই স্থানের ছবি পাশাপাশি নিয়ে তুলনা করা হয়।