কলকাতা প্রতিনিধি ॥ মাসের পর মাস অনন্ত প্রতীক্ষায় দিন কাটছে ৬৫০ জন বাংলাদেশী বন্দির। এরা সবাই রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং বেআইনিভাবে ভারতে অবস্থানের জন্য তারা ধরা পড়েছিলেন। এদের সাজাও হয়েছিল। কিন্তু সাজার মেয়াদ শেষেও এদের দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি। জানখালাস এই সব বন্দির অনেকেই এক বছরেরও বেশি সময় কারান্তরালেই থেকে গিয়েছেন। স্বদেশে ফেরানোর দাবিতে এরা মাঝে মাঝে অনশন আন্দোলনও করেছেন। কিন্তু তার পরেও তাদেও দেশে ফেরানো হয়নি। কারা দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, আদালত এদের বাংলাদেশে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও তার ব্যবস্থা এখনও হয়ে ওঠেনি। ফলে তারা এখনও জেলেই রয়ে গিয়েছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ৫৭টি কারাগারের ৩২টিতে বর্তমানে ৩হাজার ৪১৯ জন বাংলাদেশী বন্দি রয়েছেন। এই বন্দিদের মধ্যে বিচারাধীন রয়েছেন ২০৪৩ জন, আর সাজা ঘাটছেন এমন বন্দীর সংখ্যা ৭২৬ জন। সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ জানখালাস বন্দীর সংখ্যা ৬৫০ জন। এছাড়া রয়েছে বন্দীদের সন্তান-সন্ততিরা। সবচেয়ে বাংলাদেশি বন্দী রয়েছেন দমদম, বনগাঁ ও বালুরঘাট-এই তিনটি কারাগারে। বহরমপুর কারাগারেও রয়েছেন বেশ কিছু। তবে একমাত্র দমদম কারাগারেই রয়েছেন ১ হাজার ৬৫ জন বন্দি। বাংলাদেশী বন্দীদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির জেলে জেলে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলিতে বন্দিদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার আরও তিনটি জেল করার কথা ভাবছে। এই জেলগুলি হবে উত্তর ২৪ পরগনার বারসাতে, দক্ষিন ২৪ পরগণার বারুইপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে সব জেল মিলিয়ে ২০ হাজার বন্দী রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বন্দী রয়েছেন ২৪ হাজারের বেশি।