শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > পলাশে ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি বিক্রি

পলাশে ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি বিক্রি

শেয়ার করুন


নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর পলাশে স্থানীয় এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমির মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম নাদিমের প্রভাব খাটিয়ে তার আপন বড় ভাই হিরণ মিয়া এসব ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠে। পাশাপাশি ভাটা মালিককেও বাধ্য করছে তার কাছ থেকে মাটি কেনার জন্য।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ভিরিন্দা ও জয়নগর গ্রামের বেশকিছু ফসলি জমির মাটি ভেকু লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে এসব মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে হিরন। স্থানীয় ছাত্রলীগের সভাপতির আপন বড় ভাই হওয়ায় এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পায় না। অভিযোগ রয়েছে, এসব ফসলি মাটি ইটভাটার মালিকরা কিনতে না চাইলেও জোরপূর্বক তাদের ভাটায় মাটি ফেলে টাকা দাবি করা হচ্ছে।
ভিরিন্দা গ্রামের এম.এম.বি নামক ইটভাটার মালিক মোরশেদুল হক ভূইয়া জানান, ডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলামের বড় ভাই হিরণ মিয়া তার ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে আমাদের ইটভাটায় প্রায় সাপ্তাহখানেক ধরে ফসলি জমির মাটি এনে ফেলছে। আমাদের ইটভাটায় কোনো মাটির প্রয়োজন নাই বলে তাকে একাধিকবার নিষেধ করেছি এখানে মাটি না দেওয়ার জন্য। কিন্তু হিরণ মিয়াকে থামানো যায়নি। তার কাছ থেকেই আমাদের ইটভাটায় মাটি কিনতে হবে বলে এক প্রকার বাধ্য করছে। বিষয়টি পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছেও জানানো হয়েছে বলেও জানান মোরশেদুল হক।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে হিরণ মিয়া বলেন, ইটভাটার মালিকই আমাকে বলেছিল মাটি দিতে। আমি কাউকে জোর করে মাটি দেই না।
ডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম নাদিম বলেন, আমার ভাই আমার প্রভাব খাটিয়ে মাটি বিক্রি করছে এমন কিছু আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন জানান, ভিরিন্দা গ্রামের ইটভাটার মালিক মোরশেদুল হক আমাকে অবগত করার পর বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি।