স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজ (সোমবার, ২৪ এপ্রিল) পবিত্র লাইলাতুল মি’রাজ, যা শবে মেরাজ নামেও পরিচিত। আমাদের প্রিয় মহানবী (সা.)-এর ঊর্ধ্বজগত ভ্রমণের রাত এটি। যে রাতে তিনি সপ্তম আকাশে ভ্রমণ করে মহান আল্লাহ তায়ালার লাভ করেছিলেন এবং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাযের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে ফিরে এসেছিলেন। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে তাই এটি একটি পবিত্র ও ফজিলতপূর্ণ রাত্রি।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সোমবার দিবাগত রাতে (২৬ রজব দিবাগত রাতে) বাংলাদেশে পবিত্র লাইলাতুল মি‘রাজ উদযাপিত হবে।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
ওয়াজ করবেন ঢাকার নারিন্দাস্থ দারুল উলুম আহছানিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।
এ ছাড়াও এই রাতে প্রতিটি মসজিদে মিলাদ ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিভিন্ন নফল ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র এ রাত উদযাপন করবেন।
এদিন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি।
ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ-রাত্র বা অন্ধকার এবং আরবি ‘মেরাজ’ এর অর্থ-উর্ধ্বারোহণ। মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হয়রত মোহাম্মদ (স.) আল্লাহ তা’য়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত পবিত্র এই রাতে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) ‘বোরাক’ নামের বাহনে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। আরশে আজিমে আল্লাহর (সাক্ষাৎ) লাভ করেন। সেখান থেকে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। মেরাজকালে মহানবী (সা.) সৃষ্টিজগতের সবকিছুর রহস্য স্বচক্ষে দেখেন বলেও উল্লেখ আছে।
তবে কোন কোন ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, মহানবীর (স.) মেরাজ দৈহিক নয়, বরং ছিল আত্মিক আরোহণ।
শবে মেরাজ মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই মূল্যবান রাত অতিবাহিত করেন। অনেকে নফল রোজাও রাখেন এ দিন।