সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ: ওবায়দুল কাদের

পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ: ওবায়দুল কাদের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৩ ভাগ হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেতুর মোট ২৬১টি পাইলের মধ্যে ১৯১টির কাজ সম্পন্ন এবং আরও ১৫টি পাইলের আংশিক কাজ শেষ হয়েছে।

এছাড়া মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে ১৬টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৫টির কাজ চলমান রয়েছে। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬টি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ৯০০ মিটার দৃশ্যমান।

রোববার রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান ।

মন্ত্রী জানান, ৩.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ও চারলেন বিশিষ্ট কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। খনন কাজের জন্য চীন থেকে সংগৃহীত মেশিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণফুলী টানেলের খনন কাজ শুরু হবে। ৩১ ডিসেম্বর’ ২০১৮ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩০ ভাগ। ২০২২ সালে টানেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এছাড়াও যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে বলে জানান তিনি।

সভায় জানানো হয়, ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ভৌত কাজ এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৯টি পাইল, ২৭০টি পাইল ক্যাপ, ৫৬টি ক্রস-বিম, কলাম ১৫৭ (সম্পূর্ণ) ও ৮২টি (আংশিক), ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপের ক্ষতিপূরণ ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে এবং ২য় ও ৩য় ধাপের ক্ষতিপূরণ দেয়া চলমান আছে।

উল্লেখ্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভলেপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড। র‌্যামসহ সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কি.মি.। এর মধ্যে মেইন লাইন ১৯.৭৩ কি.মি.। এক্সপ্রেসওয়েটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে। প্রকল্পটি ৩টি ধাপে সম্পন্ন হবে। ১ম ধাপ- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী, ২য় ধাপ- বনানী থেকে বড়মগবাজার, ৩য় ধাপ- বড় মগবাজার থেকে কুতুবখালী।

সভায় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।