রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > পদ্মায় লঞ্চডুবি : প্রথম দিনে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

পদ্মায় লঞ্চডুবি : প্রথম দিনে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটের অদূরে ‘এমএল পিনাক-৬’ লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম দিনের (মঙ্গলবার) সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ সাক্ষ্যগ্রহণ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১২ জন পিনাক-৬ লঞ্চের যাত্রী, দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মী।
সাক্ষ্য দেওয়া ১৪ জনের মধ্যে সাতজন মাওয়া ঘাটের, একজন কাঠালবাড়ী এবং ছয়জন কাওড়াকান্দি ঘাটের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী-উদ্ধারকর্মী।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় একটি রেস্ট হাউসে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে সাক্ষ্য দিতে লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী, বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও উদ্ধারকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নূর-উর-রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ক্যাপ্টেন জসিম, সদস্যদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলার এডিসি রেভিনিউ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রহিম তালুকদারসহ ছয়জন প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন।
সর্বপ্রথম সাক্ষ্য নেওয়া হয় বেঁচে যাওয়া যাত্রী আবুল কালামের (৭০)। দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়। নিজেদের বেঁচে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তারা লঞ্চডুবির ভয়াল দৃশ্যের বর্ণনা দেন তদন্ত কমিটির কাছে।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের মাওয়া লঞ্চঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ‘এমএল পিনাক-৬’ লঞ্চ ডুবে এখনও ৬১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ জনের। পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে ২৮টি। বাকি ১৯ মৃতদেহ অজ্ঞাত হওয়ায় মাদারীপুর জেলার শিবচর পৌর কবরস্থানে গণকবর দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে, লঞ্চডুবির আট দিনের মাথায় সোমবার লঞ্চ উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে সরকার। গুটিয়ে নেওয়া হয় মাওয়া ঘাটে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমও। নিখোঁজ হওয়া ৬১ জনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেওয়া হয় না সরকারের পক্ষ থেকে।