জেলা প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিতু (৬) নামের এক স্কুল ছাত্রী নিহতের গুজবে দু’ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনার পর বিুব্ধ এলাকাবাসী ফেরিঘাটের দণিপাড়ে অবস্থানরত বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া দু’জন সাংবাদিকের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের ফলে ফেরিঘাটের উভয়পাড়ে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
আহত মিতু লেবুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবার নাম সাইফুল হাওলাদার।
প্রত্যদর্শী দোকানদার সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, সকালে মিতু স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তার বাবার ঔষধের দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেল মিতুকে ধাক্কা দিলে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায় সে। পরে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে আহত মিতু মারা গেছে এ গুজবে বিুব্ধ এলাকাবাসী গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে রাখে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শাহনেওয়াজ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বিচারের আশ্বাস দিলে দু’ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কিছু লোক আহত মিতু মারা গেছে বলে গুজব চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পরপর দুমকি থানার ওসি, প্রত্যদর্শী সাংবাদিক মজিবুর রহমান, দোকানদার সোহেল রানাসহ একাধিক ব্যক্তিরা আহত মিতু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও দুপুর ২টার পর জানা যায় যে মিতু মারা যায়নি। তবে সে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।