শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > নৌবাহিনীকে কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে

নৌবাহিনীকে কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

মংলা (বাগেরহাট): সরকার নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ পরিকল্পনা ২০৩০ সালের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মংলার দ্বিগরাজের নেভাল বার্থে নবনির্মিত এলসিটি- ১০৩ ও এলসিটি- ১০৫ নৌবাহিনীতে সংযুক্তিকরণ ও বানৌজা কে জে আলী, বানৌজা সন্দীপ ও বানৌজা হাতিয়া এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনা ২০৩০ সালের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই পরিকল্পনার আওতায় স্বল্প সময়ের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সহায়তার জন্য অত্যাধুনিক সার্ভে জাহাজ বানৌজা অনুসন্ধান নৌবহরে সংযোজন করা হয়। এরপর মেরিটাইম হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজন নৌবাহিনীতে নতুন মাত্রা যোগ করে। তারপর একে একে নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে দু‘টি মিসাইল ফ্রিগেট, একটি আমেরিকায় তৈরি ফ্রিগেট, দুটি মিসাইল করভেট এবং খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট্। বিশাল সমুদ্র এলাকায় টহল এবং পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা বর্তমানে বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। যা আমাদের সমুদ্রসীমা এবং সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি জানান, আমেরিকায় তৈরি আরও একটি ফ্রিগেট বানৌজা সমুদ্র অভিযান এবং চীনে নির্মাণাধীন অত্যাধুনিক দু‘টি করভেট বানৌজা প্রত্যয় এবং স্বাধীনতা এ বছরেই নৌবহরে সংযোজিত হবে। এই সরকারের আমলেই আনকনভেনশনাল ওয়ারফেয়ার এর জন্য সংযোজিত হয়েছে স্পেশাল ফোর্স ‘সোয়াডস্’। সর্বশেষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দু’টি সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে, যা ২০১৬ এর মাঝামাঝি নৌবাহিনীতে সংযোজিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১০ সাল থেকে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বানৌজা ওসমান ও মধুমতি মোতায়েন হয়েছিল। বর্তমানে সেখানে বানৌজা আলী হায়দার ও বানৌজা নির্মূল মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে মালি ও সম্প্রতি দক্ষিণ সুদানে পূর্ণাঙ্গ নৌ-কন্টিনজেন্টসমূহ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করা হয়েছে।

নৌবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে গত এক বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য সুনাম বৃদ্ধি ও ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।