ইব্রাহিম খন্দকার ॥
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, আজকের এই দিনে দেশ হারিয়েছে এক নেতাকে, আর আমি হারিয়েছি আমার আপনজন বাবাকে। নেতাদের আদর্শ হল, দলের দুর্দিনে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দেয়া। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৮৪ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমার বাবা ময়েজউদ্দিন তার জম্মভূমি কালীগঞ্জে আসেন। স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন তখন তুঙ্গে। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করা হয়েছিল। গাজীপুরের কালীগঞ্জে মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় বাজারের পাশে অবস্থিত আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেয়া কতিপয় ঘাতকরা বাবাকে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ ময়েজউদ্দিনের মতো নেতাদের আদর্শ ধরে নেতৃত্ব দিতে হবে। নেতৃত্ব দূর্বল হলে নেতা হওয়া সম্ভব নয়। নেতা হতে হলে কর্মীদের ভালোবাসতে হবে এবং তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে। দলের অন্তিম মূহুর্তে সামনে থেকে দলের নির্দেশ পালন করতে হবে। পিছু হটে বেইমান উপাধি পেয়ে কোনো ফয়দা নেই।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত বিশিষ্ট রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের নিবেদিত সংগঠক, শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এসব কথা বলেন।
শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলার সকল জামে মসজিদগুলোতে জুম্মার নামাজের পর তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টায় ঢাকা বনানী কবরস্থানে শহীদ ময়েজউদ্দিনের কবর জিয়ারত, ফাতিহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপজেলা পরিষদের ময়েজউদ্দিন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবকের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং উপজেলা চত্বরে বালীগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক বিশেষ মোনাজাত ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কালীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আয়োজনে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল গণি ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, এবিএম তারিকুল ইসলাম ও আবু বকর চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী বশির আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শরীফ হোসেন খান কনক, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদুল কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম রবিন হোসেনসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও দলীয় সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।