বৃহস্পতিবার , ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১১ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > নেইমার-এমবাপ্পেকে নিয়ে পেলের বক্তব্য

নেইমার-এমবাপ্পেকে নিয়ে পেলের বক্তব্য

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
নিজেই দুই উত্তরসূরি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন পেলে। মাঠে ডাইভ দেয়ার প্রবণতার জন্য মৃদু বকুনি দিলেও নেইমারের মধ্যে বিশ্বসেরা হওয়ার সব রসদই দেখছেন তিনি। তবে নতুন পেলের প্রশ্নে স্বদেশির চেয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বেশি মনে ধরেছে তিনটি বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল কিংবদন্তির! তার বিশ্বাস, এমবাপ্পেই হতে পারেন নতুন পেলে।

পেলে তিনটি বিশ্বকাপের প্রথমটি জিতেছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। আর এমবাপ্পে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ১৯ বছর বয়সে। পেলের পর বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা প্রথম টিনেজার এমবাপ্পে।

গেল বছর রাশিয়া বিশ্বকাপ মাতানো ফরাসি বিস্ময়কে নিয়ে মুগ্ধতার কথা আগেও জানিয়েছেন পেলে। জানালেন আবারও। ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফুটবল কিং বলেন, দু’তিন বছর আগেই নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পের তুলনা শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই ফরাসি তরুণের ওপর দৃষ্টি রয়েছে আমার। ছেলেটা অবিশ্বাস্য প্রতিভাধর।

পেলে বলেন, এমবাপ্পে ১৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিতেছে। আমি জিতেছিলাম মাত্র ১৭ বছর বয়সে। এ নিয়ে ওর সঙ্গে মজা করে বলেছি, আমাকে প্রায় ধরেই ফেলেছিলে! আমার ধারণা, সে নতুন পেলে হতে পারে। অনেকেই মনে করতে পারেন, আমি মজা করে এটা বলেছি। কিন্তু আমি মজা করছি না, এটা সত্যি। এমবাপ্পেকে বলব, আমাকে আরও খুশি করার জন্য তোমাকে আরেকটি বিশ্বকাপ জিততে হবে।’

নেইমারকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো আশাব্যঞ্জক কথা শোনা যায়নি পেলের মুখ থেকে। উল্টো তার উদ্ভট সাজ-পোশাক ও চুলের ছাঁটের সমালোচনা করেছেন। মাঠে নেইমারের নাটুকেপনা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন পেলে। এতে মনে হতে পারে নেইমারকে তিনি পছন্দ করেন না। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়।

ব্রাজিলীয় কিংবদন্তির ভাষায়, একজন বাবা কখনও তার সন্তানের সমালোচনা করেন না। তাকে সে শিক্ষা দেয়। আমি ওকে সান্তোসের একজন সন্তান মনে করি। মানুষ ভাবতে পারে, নেইমারকে নিয়ে আমি শুধু উল্টো পাল্টা বলি। আমি ওর ভালোর জন্যই এটা করি। আমি তার, আমাদের ব্রাজিল ও জাতীয় দলের সবচেয়ে ভালোটাই চাই সব সময়। এ নিয়ে জুনিয়রের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমি তার আরও উন্নতির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

এরপর নেইমারের ভুল ধরিয়ে দিলেন পেলে, গেল দুই বছরে কী ঘটেছে? ভালো খেলার চেয়ে অন্য পথে আলোচনায় থাকতে চেয়েছে। ফাউলের শিকার হতে সে যেন উদগ্রীব থাকত। রেফারিদের জীবনই সে কঠিন করে তুলেছিল…। এ জন্যই তার ভাবমূর্তি নেতিবাচক হতে শুরু করে। এ নিয়ে কয়েকবার আমরা কথা বলেছি। তার বাবার সঙ্গেও এ নিয়ে আমার কথা হয়েছে। অবশেষে এখন মনে হচ্ছে, সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। তর্কাতিতভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নেইমার। আশা করি, শিগগিরই তাকে সেরার আসনে দেখব।