স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন এলে তারা সব ধর্মের ওপরই আঘাত করে। তারা আসলে আঘাতটা করে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির ওপর।
রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী মহোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর কেউ রেহাই পায়নি। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান কেউ না। তারা হিন্দুদের ওপর বেশি আঘাত করে। যারা নৌকায় ভোট দেয় তাদের আঘাত করে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে তারা সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের ১৭ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আঘাত করেছে। যশোরের অভয়নগরে হিন্দুদের ওপর আঘাত করেছে। রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করেছে। নির্বাচন এলে তারা সব ধর্মের মানুষের ওপরই আঘাত করে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেদের মাটিতে নিজেদের অধিকার নিয়ে, নিজেদের শক্ত অবস্থান নিয়ে এদেশে বাস করবেন।
তিনি আরো বলেন, ৭১ সালের সব ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। সেদিন পাকিস্তানিদের গুলিতে সব ধর্মের মানুষের রক্ত মিশে একাকার হয়েছিলো।
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সব উৎসব সবাই মিলেমিশে এক হয়ে পালন করছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক। শান্তি ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না।
অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিন সেনগুপ্ত হিন্দু নারী ও বিধবাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিধবা ও নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে। আমাদের এ দায়িত্ব পালনের চিন্তা করতে হবে। বিধবা মায়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠার এখন শুভ সময়।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মেজর জেনারেল (অব.) সিআর দত্ত বীর উত্তম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রমুখ।